আব্দুল ওয়াহাব, টাকি : করোনা পরিস্থিতির জেরে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দেশ। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের দাম এক-দুদিন অন্তর বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এর ফলে আশঙ্কিত মধ্যবিত্তরা। এর প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। আজ উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে প্রতিবাদ জানাল তারা।
পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়ার পাশাপাশি রান্নার গ্যাসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় সব মিলিয়ে ঘরে বাহিরে চরম সমস্যায় সাধারণ মানুষ। এরই প্রতিবাদে টাকিতে গরুর গাড়ি চালানোর পাশাপাশি সাইকেল চালিয়ে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।
কলকাতায় সেঞ্চুরি পার করেও অব্যাহত পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি। লিটারপ্রতি ৩৯ পয়সা বেড়ে গতকাল কলকাতায় পেট্রোলের দাম হয়েছে ১০০ টাকা ৬২ পয়সা। বেড়েছে ডিজেলের দামও। লিটারপ্রতি ১৫ পয়সা বেড়ে কলকাতায় ডিজেলের নতুন দাম ৯২ টাকা ৬৫ পয়সা। এর আগেই অবশ্য রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় পেট্রোলের দাম ১০০ ছুঁয়েছে। জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে পণ্য পরিবহণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। জিনিসপত্রের আগুন দামে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।
সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার মধ্যে বেড়েই চলেছে পেট্রোপণ্যের দাম। লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি রান্নার গ্যাসেরও। ঊর্ধ্বমুখী কেরোসিনের দামও। ৩০ মে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে ভোট শেষ হয়। আর ভোট মিটতেই এখনও পর্যন্ত ৩৮ বার দাম বেড়েছে পেট্রোলের। সেঞ্চুরি পার করেও তা থামার লক্ষ্মণ নেই। মানুষ চাইছে পরিত্রাণ আর তার ওপর লাগাতার চাপানো হচ্ছে বোঝা। লিটারে ৩৯ পয়সা বেড়ে কলকাতায় পেট্রোল ১০০ টাকা ৬২ পয়সা, ১৫ পয়সা বেড়ে ডিজেল ৯২ টাকা ৬৫ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ১০৮ ডলার প্রতি ব্যারেল। তখন পেট্রোলের দাম ছিল প্রতি লিটার ৭৫ টাকা ৫১ পয়সা। ডিজেল ছিল ৫৭ টাকা ২৮ পয়সা। এখন বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল পিছু কমে হয়েছে ৭৬ ডলার। অথচ দাম বেড়ে কলকাতায় এক লিটার পেট্রোল এখন ১০০ টাকা পার করেছে। ডিজেলও ভয়ঙ্কর রেকর্ড গড়ে পিছু পিছু হাঁটছে। অর্থাৎ বিশ্ববাজারে দাম কমেছে অথচ ভারতে হু হু করে বাড়ছে। এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।