নয়াদিল্লি: তাঁর প্রয়াত স্ত্রীর ছবি হাথরাসের নির্যাতিতার বলে চালানো হচ্ছে। এমনই অভিযোগ এক ব্যক্তির। তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখার ব্যাপারে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের। বিচারপতি নবীন চাওলা বলেছেন, ওই ব্যক্তির অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে সরকারের দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়ে ফেসবুক, গুগল ও ট্যুইটারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে হবে।
গত ১৩ অক্টোবরের নির্দেশ আদালত বলেছে, ওই ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইলেট্রনিক্স ও ইনফরমেশন টেকনলজিস মন্ত্রককে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলা হচ্ছে। নির্দেশের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে মন্ত্রককে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পক্ষ ফেসবুক, ট্যুইটার ও গুগলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে হবে।
আদালত ওই ব্যক্তিকে নির্দেশের প্রতিলিপির সঙ্গে তাঁর অভিযোগের সমর্থনে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে ওই আপত্তিজনক বিষয়বস্তুর ইউআরএলগুলিও পাঠাতে বলা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মন্ত্রক, ট্যুইটার, গুগল ও ফেসবুকের কাছে জবাব চেয়ে নোটিশও জারি করেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ নভেম্বর।
শুনানিতে ওই ব্যক্তি আদালতকে বলেন যে, তাঁর প্রয়াত ছবির স্ত্রী হাথরসের নির্যাতিতার ছবি বলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মে ছড়ানো হয়েছে।
ওই ব্যক্তির কৌসুলি বলেন, ধর্ষণের শিকারের পরিচয় প্রকাশ ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে অপরাধ। তবে বর্তমান বিষয়টি হল ভুল ব্যক্তির ছবি ব্যবহারের।
ট্যুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ব্যক্তি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো-তে অভিযোগ জানাতে পারেন এবং আপত্তিকর ইউআরএলগুলি আদালতের নির্দেশিকা সহ যথাযথ চ্যানেলে পাঠানো হলে সেগুলি ব্লক করে দেওয়া হবে এবং সরিয়ে দেওয়া হবে।
গুগল-এর কৌসুলিও একই কথা বলেন।