ওয়াশিংটন: এক অন্ধকার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পুলিশি অত্যাচারে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা ও নাগরিক অস্থিরতা রয়েছে।


কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের এই মৃত্যুতে আমেরিকায় ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। উত্তাল গোটা দেশের পরিস্থিতি। শুরু হয়েছে গণ-আন্দোলন। গুগল সহ আমেরিকার একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা সেই আন্দোলনে সমর্থন জুগিয়েছেন।


ফ্লয়েড স্মৃতিতে ও প্রাণ হারানো কৃষ্ণাঙ্গদের সম্মান জানাতে সম্প্রতি নিজ সংস্থার কর্মচারীদের নীরবতা পালনের পরামর্শ দিয়েছেন 'আলফাবেট'-এর সিইও সুন্দর পিচাই। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমাদের কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায় আহত। আমরা যা বিশ্বাস করি, তার পক্ষে দাঁড়ানো এবং যাঁদের ভালবাসি তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর রাস্তার খোঁজ করে চলেছেন সকলেই।



গতকাল, আমি কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ নেতার সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা আমরা এখান থেকে কীভাবে এগবো, অনেক ধারণাগুলি নিয়ে আলোচনা করেছি। গুগলের তরফে কীভাবে অবদান রাখা সম্ভব সেই নিয়ে কথা বলেছি। আমদের মধ্যে একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ ও মাসে কোথায় ও কীভাবে আমরা আমাদের শক্তি এবং সংস্থানের প্রয়োগ করব, সেই নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।


তিনি যোগ করেন, গোষ্ঠী হিসেবে আমরা সকলে একত্র হতে চাই। ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড নীরবতা পালন করে প্রাণ হারানো কৃষ্ণাঙ্গদের শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানান পিচাই। নীরবতা পালনের জন্য কেন এই দৈর্ঘ্যের সময় বাছলেন, তাও ব্যাখ্যা করেছেন পিচাই। বলেন, এতটা সময় ধরেই মৃত্যুর আগে অমানবিক কষ্ট পেয়েছিলেন জর্জ ফ্লয়েড।



পিচাই বলেন, আমরা স্বীকার করে বর্ণবিদ্বেষ ও হিংসা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের হয়। আলফাবেট সিইও-র আবেদন, আপনাদের দেশে বা সম্প্রদায়ে যদি মনে করেন এমনভাবে কাউকে হারিয়েছেন, তাহলে গুগলের সঙ্গে আপনিও এই নীরবতা পালনে যোগ দিতে পারেন।


এরসঙ্গেই, বর্ণবিদ্বেষ দূরীকরণে কাজ করে চলা সংগঠনগুলিকে ১২ মিলয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণাও করেন পিচাই। প্রসঙ্গত, গত পাঁচ বছরে এই খাতে গুগল ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে।