নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রমণের দাপটের মধ্যে ৬৫ বছর বেশি বয়সের সিনিয়র সিটিজেনদের বাড়ি থেকে না বেরনোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। এখন সংসদের অধিবেশন চলছে। সেখানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীও। কংগ্রেস বলল, মহামারী আইন কার্যকর করে ৬৫-র ওপর বয়সের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাড়িতে থাকতে বলছে তাঁর সরকার, অথচ তিনি নিজে সংসদে যাচ্ছেন, আইন ভাঙছেন। কথা আর কাজে সঙ্গতি রাখুন, পোপগিরি করবেন না। সংসদের অধিবেশন চলতে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাংসদরা ছাড়াও হাজার হাজার মানুষকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মা।
শর্মা বলেন, করোনাভাইরাস অতিমারী গোটা বিশ্বের মানুষের শরীর-স্বাস্থ্য ও দেশে দেশে অর্থনীতির সামনে বিরাট বিপদ। পুরো দেশ ও বিশ্ব এই অতিমারীর সামনে একজোট। সরকার মহামারী আইন চালু করে ৬৫-র বেশি বয়সের নাগরিকদের ঘরে থাকতে বলছে। প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করছি, তিনি যেন প্রহসন হয়ে ওঠা সংসদের অধিবেশন চালানোয় অনড় থেকে আইন না ভাঙেন, তাকে সম্মান করেন। সরকার ৬৫-র বেশি বয়সের কেউ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নেবেন না বলে যদি গাইডলাইন নিয়েই থাকে, তবে ওনার তাকে অন্তত সম্মান করা উচিত। কেননা প্রধানমন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রী, সাংসদদের অনেকেরই বয়স ৬৫-র বেশি। ওঁরা আইন ভাঙছেন এভাবেই।


শর্মার অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সঙ্কট কোন দিকে গড়ায়, বিজেপি সরকার সেই অপেক্ষায় রয়েছে বলেই সংসদ চলছে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার শুক্রবারের মধ্যে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে বিধানসভায় আস্থাভোট করতে বলে।
শর্মা বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করে রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন চলছে, তবে কেন সংসদ চলতে দেওয়া হচ্ছে। এটা সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি অনুরাগের জন্য নয়, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থাভোট কোনদিকে গড়ায়, সেই কারণেই।
আরেক কংগ্রেস মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল ট্যুইট করেন, বিজেপি সরকার ৬৫ র বেশি বয়সের লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সহ অধিকাংশ সাংসদেরই বয়স ৬৫-র ওপর। তবে কেন সংসদ এখনও চলছে? সম্পূর্ণ নিশ্চিত, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার আস্থাভোটের পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য তা স্থগিত ঘোষণা হবে। আগাম স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থার চেয়ে বিজেপির কাছে বেশি জরুরি রাজনীতি।