নয়াদিল্লি: শুরু থেকেই বিরোধীদের নানা অভিযোগের নিশানায় এসেছিল পিএম কেয়ার ফান্ড। পিএম কেয়ার ফান্ড (PM CARES Fund) বা Prime Minister’s Citizen Assistance and Relief in Emergency Situations- এ জমা পড়া অর্থের অঙ্ক চোখে পড়ার মতো। গত তিন বছরে, পিএম কেয়ার ফান্ডে ৫৩৫.৪৪ কোটি বিদেশি অনুদান হিসেবে জমা পড়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর।


২০২০ সালে জাতীয় ফান্ড হিসেবে এটি তৈরি করা হয়েছিল। কোনওরকম আপৎকালীন পরিস্থিতি বা জরুরি অবস্থায় খরচ করার জন্য এই তহবিল।


ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে পিএমকেয়ার ফান্ড বিদেশি অনুদান হিসেবে ৪০ লক্ষ টাকা পেয়েছিল। PM CARES Fund-এ রিসিপ্ট অ্যান্ড পেমেন্টস অ্যাকাউন্ট (অডিটেড) এর রিপোর্ট তুলে সেই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই অনুদানের পরিমাণ লাফিয়ে বেড়ে ওঠে ৪৯৪.৯২ কোটিতে। তারপরে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেটা নেমে আসে ৪০.১২ কোটিতে। ৩টি অর্থবর্ষে সুদ হিসেবে ২৪.৮৫ কোটি এসেছে এই তহবিলে। 


পিএম কেয়ার্স ফান্ডে এই বিদেশি অনুদান বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিদেশ থেকে ভারতের কোনও সংস্থায় অনুদান দেওয়া হলে একটি বিশেষ আইনের আওতায় পড়ে এটি। কিন্তু পিএম কেয়ার্স ফান্ডে অনুদান দেওয়ার সময় এটি তার অধীনে পড়ে না।  Foreign Contribution (Regulation) Act-এর অধীনে এখানে পড়ে না। 


কেন এই নিয়ম করা হয়েছে, তার জন্য প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কেন পিএম কেয়ার ফান্ডকে এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হবে তা নিয়ে RTI-এর মাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ওই প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তখন জানিয়েছিল PM CARES-এর অনুমতি নিতে হবে এই তথ্য দেওয়ার জন্য। 


পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে বিরোধীরা বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। আক্রমণ শানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। গতবছর আসানসোলে একটি সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, 'বাংলায় জেনে বা না জেনে একটু কাটমানি খেয়ে ফেললেও, অ্যাকশন নিই। পিএম কেয়ারের (PM Cares Fund) নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কেউ পায় না। অডিট হয় না, হিসেবের মধ্যেও থাকে না, একবারও কেউ প্রশ্ন করে।'  


আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে ট্যান পড়ে ঠোঁটেও, এই সমস্যা এড়িয়ে চলবেন কীভাবে? রইল কিছু সহজ টিপস