মঙ্গলবার জয়শঙ্করের ট্যুইটের জবাবে পিটারসেন লেখেন, ‘ভারতের উদারতা ও মহত্ত্ব প্রতিদিন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমার প্রিয় দেশ।’
এই ট্যুইটের জবাবে মোদি লেখেন, ‘ভারতের প্রতি আপনার অনুরাগ দেখে আনন্দ পেলাম। আমরা বিশ্বাস করি, সারা বিশ্বই আমাদের পরিবার। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করার জন্য আমাদের ভূমিকা পালন করতে চাই।’
অপর একটি ট্যুইটে পিটারসেন লেখেন, ‘আমার গোটা কেরিয়ারে ভারত আমাকে অনেককিছু শিখিয়েছে এবং অনেককিছু দিয়েছে। অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় ভারতেই সবচেয়ে বেশি ভালবাসা, আতিথেয়তা, আবেগ ও প্রাণশক্তি দেখেছি। ভারত যেভাবে এই সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়েছে, তাতে সারা বিশ্ব ভারতের যত্নের পরিচয় পেয়েছে।’
ভারতের পক্ষ থেকে ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ প্রকল্পে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মলদ্বীপ, মায়ানমার, সেশেলস, আলজেরিয়া, মরিশাসেও করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকাও ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন পেল। ইংল্যান্ডের হয়ে খেললেও, দক্ষিণ আফ্রিকাতে জন্ম পিটারসেনের। সেদেশে ভারত ভ্যাকসিন পাঠানোয় স্বভাবতই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার।
কিছুদিন আগে হিন্দিতে ট্যুইট করে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দেন পিটারসেন। তিনি লেখেন, ‘ভারত-এই ঐতিহাসিক জয়ের আনন্দ উদযাপন করো। কারণ, সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এই জয় এসেছে। কিন্তু আসল প্রতিপক্ষ কয়েক সপ্তাহ পরেই আসছে। ঘরের মাটিতে যাদের হারাতে হবে। তাই সতর্ক থাকো। আগামী ২ সপ্তাহ ধরে খুব বেশি আনন্দ উদযাপন কোরো না।’
ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে। প্রথমে দু’দল চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। প্রথম দু’টি ম্যাচ হবে চেন্নাইয়ে এবং তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ হবে আমদাবাদে। এরপর দু’দল পাঁচটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে। শেষে তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে দু’দল।
প্রথম দল হিসেবে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নিউজিল্যান্ড। ৭১.৭ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষে ভারতীয় দল। ৬৮ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে ইংল্যান্ড। এই পরিস্থিতিতে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে হলে ঘরের মাঠে এই সিরিজ ২-০ বা ৩-১ ফলে জিততেই হবে বিরাট কোহলিদের। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডেরও ফাইনালে যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে জো রুটদের ৩-০, ৪-০ বা ৩-১ ব্যবধানে জিততে হবে।