গাঁধীনগর : বরাবরই মায়ের জীবনকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের বাসভবন ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন মাকে। যখনই গুজরাতে গিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখ ভিজে গিয়েছে তাঁর। মায়ের মৃত্যুর পর শোকবার্তাতেও সেই ভাব প্রকাশিত। 


শেষযাত্রায় অংশ নিয়েছেন মোদি


সকালে মায়ের চলে যাওয়ার খবর নিজেই দিয়েছেন সকলকে। তারপর দিল্লি থেকে সোজা গাঁধীনগরে পৌঁছে গিয়েছেন। ভাইয়ের বাড়ি থেকে শেষযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। কাঁধে বয়েছেন, মায়ের দেহ। ছিলেন শববাহী শকটেও। 

সম্প্রতি গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মা হীরাবেন মোদির মধ্যে শেষ দেখা। প্রধানমন্ত্রী মোদি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে আশীর্বাদ নিতে যান। 


'আমার মা যেমন সরল তেমনি অসাধারণ'


এই জুনে মা হীরাবেন মোদির শততম জন্মদিনে  বিশেষ অনুষ্ঠানে, প্রধানমন্ত্রী  মায়ের প্রতি  কৃতজ্ঞতা এবং ভালবাসা প্রকাশ করে একটি ব্লগ লেখেন।  ব্লগে,  মায়ের ত্যাগ স্বীকার ও সারা জীবন যে কষ্টের মুখোমুখি তিনি হয়েছেন, সে-কথা বলেন। লেখেন, "আমার মা যেমন সরল তেমনি অসাধারণ। সব মায়ের মতোই! আমি আমার মাকে নিয়ে যেমন লিখি, আমি নিশ্চিত যে আপনারা অনেকেই তাঁর সম্পর্কে আমার বর্ণনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন। এই ব্লগ পড়ার সময় আপনি হয়তো আপনার নিজের মায়ের ছবিও দেখতে পাবেন "


ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকেরবার্গের সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে, প্রধানমন্ত্রী মোদি মায়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। মাকে "তাঁর জীবনের স্তম্ভ" বলে উল্লেখ করেন তিনি । 


মায়ের মৃত্যুর পর শোকবার্তায় তিনি লেখেন,


একটি গৌরবময় শতাব্দী ঈশ্বরের পায়ে বিশ্রাম নিল। তিনি আরও লেখেন, ' মায়ের মধ্যে আমি সর্বদা ত্রিমূর্তিকে অনুভব করেছি, যাঁর মধ্যে একজন তপস্বীর যাত্রা, নিঃস্বার্থ কর্মযোগীর প্রতীক এবং মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জীবন। '