নয়া দিল্লি : উৎসব উপলক্ষে যাতে জমায়েতের অনুমতি না দেওয়া হয়, আগের দিনই ভারত সরকারের কাছে সেই অনুরোধ জানিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জেএ জয়লাল। কেন্দ্রকে যে কোনও রকমের জমায়েতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। কারণ, বিশাল জমায়েত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করে দেন তিনি। সেই একই সুরে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


আজ দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি যেমন- অসম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম, মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশ ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  তিনি বলেন, “কোভিড নিয়ে আমাদের অতি সতর্ক থাকতে হবে। সব ভ্যারিয়েন্টের দিকে নজর রাখতে হবে।" 


ভার্চুয়ালি এই করোনা-সমীক্ষা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ এটা ঠিক যে করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটন, ব্যাবসা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আজ আমি বলতে চাই যে, হিল স্টেশনগুলিতে বিশাল জমায়েত ঠিক হচ্ছে না। বিনা মাস্কে বাজারে ঘোরাঘুরিও ঠিক নয়। এখন করোনার তৃতীয় ঢেউ কীভাবে রোখা যায়, ভাবতে হবে।“ তাঁর পরামর্শ, “ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করুন। সতর্ক থাকলে আমরা তৃতীয় ঢেউ রুখে দেব।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, “শিশু চিকিৎসায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোয় রয়েছে অগ্রাধিকার। করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ আটকাতে টিকাকরণই একমাত্র ভরসা। ছোট পরিসর থেকেই আমাদের সচেতন হতে হবে।"


আজ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির করোনা পরিস্থিতির খবর নেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি। যার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্যাকেজের ফলে উপকৃত হবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। সেখানকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উত্তর-পূর্বের কয়েকটি জেলার করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সেখানে সতর্ক থাকতে হবে। এর পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় টিকাকরণের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরাণ্বিত করতে হবে।