নয়াদিল্লি : অপারেশন সিদুঁরের পর প্রথমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন সোমবার। সেদিনই বুঝিয়ে দিলেন, অপারেশন সিঁদুর কিন্তু শেষ নয়। ছত্রে ছত্রে দিলেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্সের বার্তা। বললেন,'অপারেশন সিঁদুর শুধু একটা নাম নয়। দেশের কোটি কোটি মানুষের ভাবনার প্রতিফলন। অপারেশন সিঁদুর ন্য়ায়ের প্রতিজ্ঞা'।
পাকিস্তানে ঢুকে বেছে বেছে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে ভারতীয় সেনা। ফাইটার জেট থেকে নিখুঁত নিশানা করে পরপর বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে কার্যত কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে পাকসেনার পরিকাঠামোর। প্রধানমন্ত্রী জানান, "বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকেতে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিশ্ববিদ্যালয়" ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের নির্ভুল সামরিক হামলায় পাকিস্তানের "সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি" ধ্বংস হয়ে গেছে। তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণা প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন, ভারতের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের কল্পনারও বাইরে ছিল। অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার পর প্রথমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিলেন, নতুন ভারতের নীতি কী।
সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি প্রকাশ্য ও স্পষ্ট সমর্থন করে গিয়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশের মধ্যে জঙ্গিদের কার্যকলাপে প্রশ্রয় দেওয়া ও টাকাও ঢেলেছে তারা। মোদি বলেন, ভারতের এই আক্রমণ শতাধিক জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। সন্ত্রাসবাদের নানা রূপ গত আড়াই-তিন দশক ধরে প্রকাশ্যে পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। যারা ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত। ভারত তাদের এক ঝটকায় শেষ করে দিয়েছে। ভারতের এই কর্মকাণ্ডে পাকিস্তান হতাশায় ডুবে গেছে। পাকিস্তান দিশেহারা হয়ে গেছিল। আর তাতেই আরও এক দুঃসাহস করে। জঙ্গি নিধনে ভারতের সঙ্গ দেওয়ার পরিবর্তে পাকিস্তান ভারতের উপরই হামলা শুরু করে দিল।
মোদি মনে করিয়ে দেন, "বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকের মতো সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলি হল বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা, তা সে ৯/১১ ই হোক বা লন্ডনে টিউব বোমা হামলা, অথবা গত কয়েক দশক ধরে ভারতে সংঘটিত বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা , সবেরই শিকড় কোনও না কোনওভাবে এই সন্ত্রাসবাদী আস্তানার সঙ্গেই যুক্ত।"এই ভাবে কৌশলে আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বকে মনে করিয়ে দিলেন তাদের দেশে সন্ত্রাবাদী হানার শিকড়ও পাকিস্তানেই রয়েছে। কারণ, পাকিস্তানের অ্য়াবোটাবাদ থেকেই ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করেছিল আমেরিকা। নরেন্দ্র মোদির বার্তা স্পষ্ট। এবার দেখার পাকিস্তান কী করবে?