নয়াদিল্লি : ' আপনার মায়ের প্রয়াণে আন্তরিক সমবেদনা জানাই। ঈশ্বর তাঁর আত্মাকে শান্তি দিন' , কাঁচা হাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিল এক ছোট্ট পড়ুয়া। বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় শ্রেণীর সে। তাঁর সেই শোক পত্রের জবাবও দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদিও সুন্দর ভাষায় ওই শিশুকে জবাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
চিঠিটি টুইটারে শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা ও বিধায়ক খুশবু সুন্দর। বিজেপি বিধায়ক টুইট করেছেন, "এটি একজন সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়কের গুণ! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের শোকপত্রের জবাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যবহার ওই শিশুটির ভবিষ্যৎ জীবনকে সঠিক পথে চালিত করবে৷ "ওই বিজেপি বিধায়ক ওই ছাত্রের লেখা চিঠি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর চিঠি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর চিঠিটে লেখেন আরুশ নামে এক দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। চিঠিতে সে প্রধানমন্ত্রী মোদির মা হীরাবেনের মৃত্যুতে আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা, হীরাবেন, গত ৩০ ডিসেম্ব আহমেদাবাদে প্রয়াত হন।
মায়ের মৃত্যুর পর শোকবার্তায় তিনি লেখেন,
একটি গৌরবময় শতাব্দী ঈশ্বরের পায়ে বিশ্রাম নিল। তিনি আরও লেখেন, ' মায়ের মধ্যে আমি সর্বদা ত্রিমূর্তিকে অনুভব করেছি, যাঁর মধ্যে একজন তপস্বীর যাত্রা, নিঃস্বার্থ কর্মযোগীর প্রতীক এবং মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জীবন। '
বরাবরই মায়ের জীবনকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের বাসভবন ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন মাকে। যখনই গুজরাতে গিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখ ভিজে গিয়েছে তাঁর। মায়ের মৃত্যুর পর শোকবার্তাতেও সেই ভাব প্রকাশিত।
এই জুনে মা হীরাবেন মোদির শততম জন্মদিনে বিশেষ অনুষ্ঠানে, প্রধানমন্ত্রী মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ভালবাসা প্রকাশ করে একটি ব্লগ লেখেন। ব্লগে, মায়ের ত্যাগ স্বীকার ও সারা জীবন যে কষ্টের মুখোমুখি তিনি হয়েছেন, সে-কথা বলেন। লেখেন, "আমার মা যেমন সরল তেমনি অসাধারণ। সব মায়ের মতোই! আমি আমার মাকে নিয়ে যেমন লিখি, আমি নিশ্চিত যে আপনারা অনেকেই তাঁর সম্পর্কে আমার বর্ণনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন। এই ব্লগ পড়ার সময় আপনি হয়তো আপনার নিজের মায়ের ছবিও দেখতে পাবেন "