নয়াদিল্লি: গতকাল ছিল বিজয় দিবস। পাকিস্তানকে দু’খণ্ড করে বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল ভারত। আর আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন। করোনা-পরবর্তী এই যুগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি নিয়ে তাঁদের আলোচনা হবে।

২০১৯-এর অক্টোবরে ভারত সফরে আসেন হাসিনা। করোনা কালেও মোদি-হাসিনা নিয়মিত সম্পর্ক রেখেছেন। এ বছরের মার্চে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি ভিডিও বার্তাও দেন। জানা গিয়েছে, পরিবহণ ও সংযোগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশ বোঝাপড়া আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যাতে ১৯৬৫-র আগে ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে যে ৬টি  যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল, সেগুলি আবার চালু করা যায়। হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল সংযোগ শুরু করার মাধ্যমে ৬টির মধ্যে ৫টি ইতিমধ্যেই চালু করা গিয়েছে।

হলদিবাড়ি-চিলাহাটি ছাড়া অন্য চারটি সংযোগ ব্যবস্থা হল পেট্রাপোল (ভারত)- বেনাপোল (বাংলাদেশ), গেদে (ভারত)- দর্শনা (বাংলাদেশ), সিংহবাদ (ভারত)- রোহনপুর (বাংলাদেশ) এবং রাধিকাপুর (ভারত)- বিরল (বাংলাদেশ)। কলকাতা-শিলিগুড়িকে বাংলাদেশের মাধ্যমে যুক্ত করেছিল হলদিবাড়ি-চিলাহাটি ব্রডগেজ রেল যোগাযোগ। কিন্তু ১৯৬৫-র যুদ্ধ সব রেল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুট বাংলাদেশ ও অসম-পশ্চিমবঙ্গের যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে। ত্রিপুরার আগরতলা এবং বালাদেশের আখাউড়ার মধ্যেও রেল সংযোগের চেষ্টা চলছে।