শিবসেনা মুখপত্র সামনা লিখেছে, লকডাউনে ১৪ কোটির বেশি মানুষ কর্মহারা হয়েছেন। আগামী দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। দেড় ঘণ্টার বক্তৃতায় তাঁদের নিয়ে কিছু বলতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী। লোকে বাড়ি থেকে বার হচ্ছে কিন্তু তারপর বেরিয়ে করবেটা কী। চাকরি, ব্যবসা, কর্মসংস্থান- সব তো শেষ হয়ে গিয়েছে। এই সব সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীর বলা উচিত ছিল।
সামনা সম্পাদকীয়তে লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী করোনা টিকার ট্রায়ালের কথা বললেন, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা বললেন, ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশনের কথা বললেন। কিন্তু আত্মনির্ভর ভারতের ঢাক পেটালেই অতিমারীর জেরে তৈরি হওয়া আর্থিক সঙ্কটের মোড় ফেরানো যায় না। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের উল্লেখ করে সামনা লিখেছে, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় তিনি বলেন, ভারতের বিশ্বের অর্থনীতিকে গতি দেওয়ার মত ক্ষমতা রয়েছে। বিশ্বের কথা ছাড়ুন স্যার, এখন দেশের অর্থনীতিকে গতি দিন। স্বাধীনতা দিবস আসে, যায়, লাল কেল্লা একইরকম থাকে আর একইরকম থাকে সমস্যাগুলো।
সেনা আর বায়ুসেনা দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত করে শত্রুদের দূরে রাখতে সক্ষম। কিন্তু ক্ষুধা ও বেকারত্বর সঙ্গে লড়াইটা চলবে কীভাবে? সামনার মাধ্যমে প্রশ্ন করেছে শিবসেনা।