নয়াদিল্লি: সংসদের বাদল অধিবেশনের সূচনার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংসদদের করোনাভাইরাস অতিমারির মধ্য়েও অধিবেশনে সামিল হওয়ায় অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অতিমারি এখনও বহাল রয়েছে, কিন্তু এমপিরা তাঁদের কর্তব্য পালনের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিমত জানালেন তিনি।  মোদি বলেছেন,  ওঁদের অভিনন্দন, কৃতজ্ঞতা জানাই।  এবার লোকসভা ও রাজ্যসভা অধিবেশন দিনের ভিন্ন ভিন্ন সময় বসছে। শনিবার, রবিবারও অধিবেশন হবে। সব সাংসদই এটা মেনে নিয়েছেন। অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলি উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।


মার্চে কোভিড-১৯ অতিমারির জন্য বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছিল। এবার ১৮ দিনের অধিবেশনের জন্য ফের সংসদ ডাকা হচ্ছে। সময় কম ধরা হয়েছে বলে জিরো আওয়ার, প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকছে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা ইস্যুতে আলোচনা হবে। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে যে, লোকসভায় বিস্তারিত,ব্যাপক আলোচনা থেকে গোটা দেশ উপকৃত হতে চায়। সেই মহান ঐতিহ্য বহাল রাখব, সব সাংসদরা তাতে নতুন অবদান যোগ করবেন।

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর চিনা আগ্রাসনের ঘটনা সংসদের আলোচনায় প্রাধান্য, গুরুত্ব পেতে চলেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের পুরো দেশ সেনাবাহিনীর পাশে রয়েছে, এই বার্তা দিতে সাংসদদের আহ্বান জানান। বলেন, এবারের সংসদের একটি বিশেষ কর্তব্য আছে। আজ আমাদের সাহসী সেনা জওয়ানরা সীমান্তে কঠিন প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও উদ্দীপনা, বিশ্বাস, ভরসা নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। শীঘ্রই সেখান বরফ পড়তে শুরু করবে।  দেশকে সুরক্ষিত রাখতে ওখানে আছেন ওঁরা। সব সাংসদের উচিত জওয়ানদের বার্তা পাঠানো যে, সারা দেশ তাঁদের সঙ্গে আছে। এক সুরে সব এমপি বলুন, তাঁরা জওয়ানদের পাশে আছেন। এই বার্তা যাবে বলে আশা রাখছি।

পাশাপাশি সাংসদ, সাংবাদিকদেরও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়ে  প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা প্রটোকল মেনে চলব। ভ্য়াকসিন না বেরনো পর্যন্ত কোনও অবস্থাতেই সতর্কতায় ঢিলেমি, শৈথিল্য দেখাব না। আমরা আশাবাদী, আমাদের বৈজ্ঞানিকরা সফল হবেন, ভ্যাকসিন আমরা পাব।