আগরলতা : ভোটমুখী ত্রিপুরায় (Tripura) প্রচারে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি সেখানে জনসভা করবেন তিনি। ত্রিপুরা বিজেপির সূত্র অনুযায়ী, গোমতি ও ধলাইয়ে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, বিজেপির ইনচার্জ মহেশ শর্মা এবং অন্য়ান্য নেতারা।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। ৬০টি আসনের মধ্যে ৫৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। বাকি ৫টি আসন জোটসঙ্গী আইপিএফটি-র জন্য ছেড়ে রেখেছে। অন্যদিকে, জোট বেঁধেছে বাম-কংগ্রেস। তারা ৬০টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
সোমবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য়ে পা রাখেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ! আর সেদিনই এখানে জোড়া সভা করেন অমিত শাহ। কিন্তু, এমন দিনেও, দুটি সভা থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু নিশানা করেন বাম আর কংগ্রেসকে। তাঁর মুখে শোনা যায়নি তৃণমূলের নাম!
অমিত শাহ বলেন, আর বামেদের ভোট দেওয়া মানে ফের হিংসায় ডুববে ত্রিপুরা। আপনারা বলুন, ফের ত্রিপুরায় হিংসা চান? বিজেপিকে ভোট মানে মোদিজিকে ভোট, বিকাশকে ভোট, ত্রিপুরার উন্নয়নকে ভোট।
সেই প্রসঙ্গ তুলেই আজ শুভেন্দু খোঁচা দেন তৃণমূলকে। ত্রিপুরায় নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল, ওদের ধর্তব্যের মধ্যে আনা যায় না বলেই গতকালের জনসভায় অমিত শা তৃণমূলের নাম মুখে আনেননি, এমনই মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে, বাম ও কংগ্রেসের জোট জটিলতা কেটে গেছে। মনোনয়নের শেষ দিনে অতিরিক্ত আসন থেকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেয় দু-পক্ষই। শুরুতে ঠিক হওয়া জোট ফর্মুলা মেনে ৪৬টি আসনে লড়ছে বামেরা। কংগ্রেস প্রার্থীরা আছেন ১৩টি আসনে। ১টি আসনে আছেন বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। যদিও বিজেপির দাবি, ত্রিপুরার ভোটে ফ্যাক্টর হবে না কোনও জোট।
মঙ্গলবার উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন বাংলার তিন হেভিওয়েট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, ভোট ত্রিপুরার, প্রচার আগরতলায় হওয়া সত্ত্বেও, তাঁদের বক্তব্য়ে বারবার ঘুরে ফিরে এল ১ হাজার ১৫৪ কিলোমিটার দূরের পশ্চিমবঙ্গের কথা ! এদিন, আগরতলার রবীন্দ্রভবন থেকে ৫ কিলোমিটার পদযাত্রার পর সেখানে ফিরেই নির্বাচনী সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, গোমতী জেলার রাধাকিশোরপুর ও সিপাহী জেলার নলছড়ে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী।