নয়া দিল্লি: দেশে ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE) সফর আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ৬ জানুয়ারি সে দেশে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। যদিও সেই সফর আপাতত স্থগিত হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এই সফরে দুবাই এক্সপোতে ভারতীয় প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করবেন, এমনটাও কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদির সংযুক্ত আরবশাহীর সফরের আরেকটি মূল ফোকাস ছিল অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য ভারত-ইউএই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করা। সম্প্রতি, ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী একটি নতুন কোয়াড-এরও অংশ হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, মোদি ২০১৫ সালে প্রথম UAE সফর করেছিলেন। আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স এবং UAE সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ২০১৬ সালে ভারত সফর করেছিলেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতেও তিনি ভারত সফর করেছিলেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। এই সফরের সময়ই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক "কৌশলগত অংশীদারিত্ব"-এ উন্নীত হয়।
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি UAE সফর করেছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার, 'অর্ডার অফ জায়েদ' পাওয়ার জন্য আগস্টের ২০১৯ সালে আবার দুবাই সফর করেন।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা এ দেশেও বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে আজ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ বিকেল চারটেয় এই বৈঠক হয়েছে বলে খবর। রিপোর্ট অনুসারে, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন সমস্ত মন্ত্রীই। জানা যাচ্ছে, মন্ত্রী পরিষদের এই বৈঠকে উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের করোনাভাইরাসজনিত অতিমারী পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছিলেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আধিকারিকদের ওমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।