হায়দরাবাদ: মণিপুরে এখনও অব্যাহত সন্ত্রাস। কেন্দ্রীয় বাহিনীতেও কাটছে না জট। মণিপুর পুলিশ, অসম রাইফেলস, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) এর যৌথ প্রচেষ্টায় চলছে অভিযান। আর এই পরিস্থিতিতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চরম আক্রমণ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের।
কংগ্রেস নেতার কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৪২টি দেশ সফর করেছেন, কিন্তু মণিপুর সফরের জন্য তাঁর কাছে সময় নেই, যেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে। খাড়গে প্রধানমন্ত্রীকে এও বলেছেন, কেন তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) দখল করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং লম্বা দাবি করার পরেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ থামিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মণিপুরের মানুষ কি ভারতের নাগরিক নয়?”
এর পাশাপাশি খাড়গে মোদি সরকারের বিদেশ নীতিরও সমালোচনা করেন। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতার কথায়, মোদি সরকারের এই কাজে দেশের চারিদিকে শত্রুরা ঘিরে আছে। প্রধানমন্ত্রী গত ১১ বছরে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি করার অভিযোগ করেছেন, এমনটাও বলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি বলে অভিযোগ করেছেন খাড়গে।
কী পরিস্থিতি মণিপুরে?
শেষবার ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের মাটিতে পা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর ২০২৩ সালের মে মাসে ভয়াবহ জাতি দাঙ্গার আগুনে জ্বলে ওঠে উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুর। শতাধিক মৃত্যুর খবর উঠে আসে। বারবার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। প্রশ্ন ওঠে, কবে মণিপুরে পা রাখবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী?
মণিপুরের পাহাড়ি এলাকায় কুকি ও উপত্যকা জুড়ে মেইতেই, এই দুই গোষ্ঠীর সংঘাতে তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। একটা সময়ের পর ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন বিজেপির এন বীরেন সিং। মণিপুরে শুরু হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। তারই মাঝে কিছুদিন আগেই মণিপুরে এক গুলি চালনা কাণ্ডে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, ৮ দিনে ৫ দেশের সফরে গিয়েছেন মোদি। আজ তিনি পৌঁছেছেন ত্রিনিদাদ ও তোবাগোতে। তবে যদি প্রধানমন্ত্রী সফর করেন, তাহলে,'সরকার কিছু ইতিবাচক দিক চাইবে'। সব মিলিয়ে আপাতত এই সফরের সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা চরমে। যদিও কেন্দ্রের তরফে এই নিয়ে মুখ খোলা হয়নি।