নয়াদিল্লি: নয়া সংসদভবনের উদ্বোধনের দিন চয়ন নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। বেছে বেছে হিন্দুত্ববাদী নেতা বিনায়ক সাভারকরের জন্মদিনেই কেন নয়া সংসদভবনের উদ্বোধন রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। তার মধ্যেই নয়া সংসদভবনে সাভারকরকে (Vinayak Damodar Savarkar) শদ্ধার্ঘ নিবেদন কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও অংশ নিলেন তাতে (New parliament Building)।
রবিবার, ২৮ মে মহাসমারোহে নয়া সংসদভবনের উদ্বোধন হল। আর আজই ১৪০তম জন্মবার্ষিকী সাভারকরের। সংসদভবনের উদ্বোধন সেরেই নতুন সংসদভবনে সাভারকরে শ্রদ্ধার্ঘ জানানো হয়। তার জন্য বিশেষ আয়োজন হয়েছিল নয়া সংসদভবনে। ফুল দিয়ে সাজানো হয় একটি অংশ। বেদি গড়ে তার উপর রাখা হয় সাভারকরের ছবি। মালা পরানো হয় তাতে। ছিল আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও।
তার পর একে একে পুষ্প নিবেদন করে, মোমবাতি জ্বালিয়ে সাভারকরকে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন সকলে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, প্রহ্লাদ জোশী, এস জয়শঙ্কর, হরদীপ সিংহ পুরি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, নড্ডা, অনুরাগ ঠাকুর, অশ্বিনী বৈষ্ণো-সহ বাকি মন্ত্রীরাও উপস্থিত হন সাভারকরকে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করতে।
একই সঙ্গে, 'মন কি বাত'-এর ১০১ তম পর্বেও এ দিন সাভারকরকে শ্রদ্ধা জানান মোদি। তিনি বলেন, "সকল দেশবাসীকে জানাতে চাই, আজ মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর সাভারকরের জন্মজয়ন্তী। ওঁর ত্যাগ, সাহস এবং সঙ্কল্পের কাহিনী আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। ওই দিনটি ভুলতে পারি না, যেদিন আন্দামানের ওই কুঠুরিতে ঢুকি, যেখানে কালাপানির সাজা কাটিয়েছিলেন বীর সাভারকর। দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন সাভারকর।"
সাভারকর সম্পর্কে মোদি আরও বলেন, "দাসত্বের মানসিকতা ছিল না বীর সাভারকরের। গোলামি করার অভ্য়াস মেনে নিতে পারতেন না। শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামই নয়, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে উনি যে আত্মত্যাগ করেছিলেন, আজও তা স্মরণীয়।“ সন্ত কবীর, এনটি রামারাওকেও এ দিন স্মরণ করেন মোদি।