নয়াদিল্লি: দেশের রাজনীতিতে নয়া যুগের সূচনা হল। নয়া সংসদভবন পেল দেশ (New Parliament Building)। রবিবার তার শুভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এ দিন নয়া সংসদভবন চত্বের প্রথমে মহাত্মা গাঁধীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। তার পর সকাল সাড়ে ৭টায় যজ্ঞ ও পুজো করে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পুজোয় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Parliament Building Inauguration)।


পুজো সেরে সোনার রাজদণ্ড 'সেঙ্গল'কে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন মোদি। নতুন সংসদ ভবনে স্পিকারের আসনের পাশে এই 'সেঙ্গল' স্থাপন করেন তিনি। এর পর নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজে যুক্ত শ্রমিকদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান প্রধানমন্ত্রী। হাতে তুলে দেন স্মারক। সর্বধর্ম প্রার্থনারও আয়োজন করা হয়। 


মোট দু'দফায় সংসদভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। সেঙ্গল প্রতিস্থাপন এবং প্রার্থনার পর দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শুরু হবে এই পর্বের অনুষ্ঠান। এরপর নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দু'টি ছবি দেখানো হবে। অনুষ্ঠান শেষে ৭৫ টাকার কয়েন এবং স্ট্যাম্প প্রকাশ করবেন এবং বক্তব্য রাখবেন মোদি। দুপুর ২টো-আড়াইটে নাগাদ সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।


আরও পড়ুন: New parliament Building: সামনে রাখা ‘সেঙ্গল’, পুজো সেরেই সাষ্টাঙ্গে প্রণাম মোদির, লোকসভায় সোনার রাজদণ্ডের স্থাপন


সংসদের এই নতুন ভবনেই হবে পরবর্তী বাদল অধিবেশন। পুরনো সংসদ ভবনের পাশেই এই নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। ত্রিভুজাকৃতি চারতলা ভবন গড়ে উঠেছে প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার বর্গ মিটার জায়গার ওপর। মূল ভবনে ঢোকার মোট ৩টি দরজা, জ্ঞানদ্বার, শক্তিদ্বার ও কর্মদ্বার। নতুন ভবনে লোকসভা, রাজ্যসভা, সেন্ট্রাল লাউঞ্জ, সংসদীয় কর্তৃপক্ষের কার্যালয়, কনস্টিটিউশন হল, গ্রন্থাগার, ডাইনিং রুম এবং থাকছে পর্যাপ্ত গাড়ি রাখার ব্যবস্থা। জাতীয় পাখি ময়ূরের আদলে তৈরি হয়েছে লোকসভা। রাজ্যসভা তৈরি হয়েছে জাতীয় ফুল পদ্মের আদলে।


তবে নয়া সংসদভবন উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠান বিতর্ক থেকে রেহাই পায়নি। দেশের আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয়, অনুষ্ঠান বয়কট করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, জেডিইউ, আরজেডি-সহ ২১টি বিরোধী দল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছেন ২৫টি বিরোধী দলের সদস্যরা।


শুধু তাই নয়, নয়া সংসদভবন উদ্বোধনের দিন নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, রবিবারই হিন্দুত্ববাদী নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মবার্ষিকী। বেছে বেছে এই দিনটিকেই কেন সংসদভবন উদ্বোধনের জন্য বেছে নেওয়া হল, তা নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। এ দিন পুরনো সংসদভবনে সাভারকরকে শ্রদ্ধাও জানাবেন বিজেপি সাংসদরা।