নয়াদিল্লি : লোকসভা ভোটজুড়ে ‘Modi Ka Parivar’ প্রচারের জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি, এই আর্জিও জানালেন, সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে এবার এই ট্যাগ সরিয়ে নিতে। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, এবার বিজেপি একার ক্ষমতায় ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি। সরকার গড়তে সাহায্য নিতে হয়েছে NDA-র শরিকদলগুলির। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়েই এই সিদ্ধান্ত মোদির।


গত ৯ জুন তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর এদিন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি লিখলেন, ভোট প্রচারে, গোটা দেশজুড়ে আমার প্রতি স্নেহ থেকে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ‘Modi Ka Parivar’ লিখেছিলেন মানুষজন। তা থেকে আমি প্রচুর শক্তি পেয়েছিলাম। দেশের মানুষ NDA-কে টানা তিন বার সংখ্যা গরিষ্ঠতা দিয়েছে। যা একপ্রকার রেকর্ড। আমাদের দেশের আরও উন্নতিতে কাজ করার জন্য জনাদেশ দিয়েছেন। 


 






তাঁর সংযোজন, 'আমরা সবাই একই পরিবারের এই বার্তা সফলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের মানুষকে আবার ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আপনাদের অনুরোধ করছি, আপনাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে  ‘Modi Ka Parivar’ লেখা সরিয়ে নিন। ডিসপ্লের নাম পাল্টে যেতে পারে, কিন্তু দেশের উন্নতিতে আমাদের যে একতা তা আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং কখনও ভাঙবে না।' 


লোকসভা ভোটের আগে, মোদিকে 'পরিবারবাদ' খোঁচা দেন RJD সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। তা ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। লালু বলেছিলেন, 'নরেন্দ্র মোদির নিজের যদি কোনও পরিবার না থাকে তাহলে আর কি করা যাবে ! উনি রামমন্দির নিয়ে বলতে থাকেন। উনি প্রকৃত হিন্দুও নন। হিন্দু নিয়ম অনুযায়ী, বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর ছেলেকে চুল-দাড়ি কামাতে হয়। মোদির মা যখন মারা যান তখন উনি এই নিয়ম পালন করেননি।'


লালুর এই আক্রমণের জবাবে মোদি বলেন, 'ওঁদের পারিবারিক রাজনীতি নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম বলে ওঁরা বলেন মোদির পরিবার নেই। আমার জীবনটা একটা খোলা বই। আমি দেশের জন্য বাঁচব।' এরপরই বিজেপির একাধিক মন্ত্রী, নেতা ও কর্মী তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ‘Modi Ka Parivar’ ট্যাগ ব্যবহার করতে থাকেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে।