নয়াদিল্লি: মণিপুর হিংসা নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধীরা। ভোটাভুটির আগে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে আলোচনা। সেই আবহে ফের একবার বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সেমি ফাইনাল চাইছিলেন বিরোধীরা, তার কী পরিণতি হচ্ছে, দেখতে পাচ্ছেন সকলে। (No Confidence Motion)
লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার আগে বিজেপি-র সংসদীয় দলের বৈঠক হয় এদিন। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন মোদি। বিরোধী জোটের লক্ষ্যে পৌঁছনোর সম্ভাবনাও খারিজ করে দেন তিনি। মোদিকে উদ্ধৃত করে বিজেপি-র একটি সূত্র জানিয়েছে, বিরোধীদের পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাসই নেই। মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা নেই তাদের।
লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে মোদি বলেন, "নিজেদের পারস্পরিক বিশ্বাসই পরীক্ষা করে দেখছেন বিরোধীরা। কে পাশে আছে, আর কে নেই, তা পরখ করে দেখতে চাইছে এই অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে। শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে চাইছেন বিরোধীরা। ২০১৮ সালে ওঁদের পারস্পরিক অনাস্থাই সামনে এসেছিল।"
মণিপুর হিংসায় নীরবতা বজায় রাখায় লাগাতার মোদিকে আক্রমণ করে আসছেন বিরোধীরা। তাঁকে বিবৃতি দেওয়াতেই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলেও জানিয়েছে তারা। এদিন সেই নিয়েও মুখ খোলেন মোদি। বলেন, "যাঁরা সামাজিক ন্যায়-অন্যায় নিয়ে কথা বলছেন, তাঁরা নিজেরাই পরিবারতন্ত্রের ফসল এবং তুষ্টিকরণের প্রচারক।"
এই প্রথম বার নয়, বিজেপি বিরোধী জোটের INDIA নামকরণ নিয়েও এর আগে ধারাল আক্রমণ শানিয়েছিলেন মোদি। আগের সব পাপ ধুয়ে ফেলতেই নয়া নামকরণ বলে মন্তব্য করেছিলেন। শুধু তাই নয়, মুজাহিদিন, PFI -এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের নামেও INDIA রয়েছে, তাই শুধু নামের দৌলতে বিরোধীরা কিছু করতে পারবেন না বলে জানান। বিরোধী জোট দেশের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
বিগত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। এখনও পর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ঘরছাড়া প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংসদে কেন তা বিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন না, আগাগোড়া প্রশ্ন তুলে আসছিলেন বিরোধীরা। তার জন্যই মণিপুর নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত বলে জানান বিরোধীরা। মঙ্গলবার থেকে সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে লোকসভায়। ১০ অগাস্ট জবাবি ভাষণ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।