নয়াদিল্লি: নতুন কৃষি আইন রাতারাতি তৈরি হয়নি। বিভিন্ন সংগঠন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর তা আনা হয়েছে। এতে কৃষকদের স্বপ্নপূরণ হবে। অনলাইনে কিষাণ কল্যাণ কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই আশ্বাস দিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা এই আইনের বিরোধিতা করছে, তারাই ইস্তেহারে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করেনি। ওরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেটাই রয়েছে আইনে কিন্তু নিজেরা করতে পারেনি, তাই ওদের সহ্য হচ্ছে না। তাঁর কথায়, আমার কোনও কৃতিত্ব প্রয়োজন নেই, আমি কৃষকদের উন্নয়ন চাই, কৃষিক্ষেত্রে আধুনিকতা চাই। মিথ্যে প্রচার করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা চলছে, কৃষকদের কাঁধে বন্দুক রেখে স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্র তো বারবার বলছে, কোথায় সমস্যা বলুন। কিন্তু ওই দলগুলি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না।

মোদি আরও বলেছেন, বিরোধীদের আজ পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা নিজেরা জমি হারিয়ে কৃষকদের জমি হারানোর ভয় দেখাচ্ছে। স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মেনে আনা হয়েছে কৃষি আইন। মনমোহন সিংহের আমনে এই সুপারিশ জমা পড়ে কিন্তু ৮ বছর ধরে তা চেপে রেখেছিল ইউপিএ। কৃষকরা আন্দোলন করেছেন, কিন্তু বিরোধীদের মন কাঁদেনি। ওরা কৃষকদের জন্য বেশি টাকা খরচ করতে চায়নি। প্রতিটি ভোটের আগে ওরা কৃষি ঋণ মকুবের কথা বলে অথচ রাজস্থানের কৃষকরা এখনও ঋণ মকুবের অপেক্ষায়। তাঁর অভিযোগ, এরা যে টাকা দেওয়ার কথা বলে, তা দেয়না। কৃষকদের ধোঁকা দেওয়ার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। ২ বছর আগে যখন মধ্য প্রদেশে বিধানসভা ভোট হয়. তখন ১০ দিনের মধ্যে কৃষকদের ঋণ মাফের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কজনের ঋণ মকুব হয় কংগ্রেস সরকার গড়ার পর? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর।