ভুজ (গুজরাত) : পাকিস্তানকে ফের জোরালো বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। "সুখ-শান্তিতে জীবন কাটান, রুটি খান, নাহলে আমার গুলি তো আছেই।" গুজরাতে ভুজের সভা থেকে ফের হুঙ্কার ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী।

 

তিনি বলেন, "ভারত পর্যটনে বিশ্বাস করে। পর্যটন মানুষকে এক জায়গায় নিয়ে আসে। কিন্তু, পাকিস্তানের মতো দেশ মনে করে, সন্ত্রাসই পর্যটন। এটা বিশ্বের কাছে একটা বড় হুমকি। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হলে সে দেশের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। ওদের যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।"

 

এদিন আবারও 'অপারেশন সিঁদুরের' সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের প্রত্যাঘাত এত জোরালো ছিল যে ওদের বায়ুসেনা ঘাঁটি এখনও ICU-তে আছে। আমাদের বাহিনীর বীরত্ব ও সাহসিকতার কারণেই পাকিস্তান সাদা পতাকা উড়িয়েছিল। আমরা ওদের ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের টার্গেট ছিল আপনাদের জঙ্গি পরিকাঠামো। আপনাদের শুধু শান্ত হয়ে থাকতে হবে। আপনারা ভুল করেছেন, তাই তার ফলও আপনাদেরই ভুগতে হবে। ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান ভ্যাবাচাকা খেয়ে গিয়েছিল। ওরা সীমান্তের কাছে ড্রোন পাঠাতে শুরু করে। এমনকী কছেও। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় যখন মাত্র ৭২ ঘণ্টায় ভুজে রানওয়ে তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল, তখনই কছের সাহসী মহিলারা পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ভণ্ডুল করে দিয়েছিলেন। ওই মহিলারা আমাকে এসে আশীর্বাদ করেছিলেন। ওঁরা আমাকে একটা সিঁদুর গাছও দিয়েছিলেন। যেটা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পোঁতা হবে।" 

 

জঙ্গি হামলায় ভারতের জিরো টলারেন্সের কথা আরও একবার তুলে ধরে তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের নীতি জিরো টলারেন্স। 'অপারেশন সিঁদুর' আমাদের নীতিকে স্পষ্ট করে দিয়েছে। যারাই আমাদের রক্তাক্ত করবে, তারাই একই পরিণতি দেখবে। কোনোভাবেই তাদের ছাড়া হবে না। অপারেশন সিঁদুর হচ্ছে মানবতা রক্ষার ও সন্ত্রাস ধ্বংসের মিশন। পাকিস্তান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় কি না তা দেখার জন্য আমরা ১৫ দিন অপেক্ষা করেছি। কিন্তু, সন্ত্রাস সম্ভবত ওদের রুজি-রুটি। যখন ওরা কিছু করল না, আমি আমাদের সশ্স্ত্র বাহিনীকে স্বাধীনতা দিয়ে দিলাম।"