নয়াদিল্লি: বিয়ে (wedding) মানে উৎসব-হইহুল্লোড় এবং দেদার আমোদ। ভারতের সিনেমার দৌলতে ভারতীয় বিয়ের বিশেষ পরিচিত হয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। ইদানিং, বিভিন্ন সেলেব্রিটির বিয়ে নিয়েও উদ্দীপনা দেখা যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে বহু সেলেব্রিটি বিয়ে করেছেন ভারতের বাইরে কোনও বিদেশের মাটিতে (Wedding in Foreign Land)। সেই তালিকায় রয়েছে বিরাট-অনুষ্কা, রণবীর সিংহ-দীপিকা পাড়ুকোনের মতো পাওয়ার কাপল। তাঁদের দেখে অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন বাইরে বিয়ে করার জন্য। তাঁদের জন্যই এবার বার্তা দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।


রবিবারের মন কি বাত অনুষ্ঠানে তিনি বললেন এভাবে বাইরে বিয়ে করতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশ ভেবেছেন। তাঁর মনে হয়েছে বিদেশে নয়, বরং ভারতেই বিয়ের মতো অনুষ্ঠান করা উচিত। যাতে ভারতের টাকা বিদেশে না যায়। এমন করার জন্য দেশের মানুষের কাছে আবেদনও রেখেছেন তিনি।   


মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে, বিয়ের কেনাকাটা নিয়েও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি এদিন বলেন, বিয়ের জন্য কেনাকাটা করার সময় ভারতে তৈরি জিনিসপত্রকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ভারতে বিয়ের মরসুম শুরু হয়েছে। ভারতে বিয়ে বিষয়টি এখন প্রায় শিল্পের সমগোত্রীয়। বিয়ে এবং বাকি আনুষ্ঠানিক বিষয়গুলি নিয়ে দেদার টাকা খরচ হয়, বিপুল আর্থিক লেনদেন হয়। কিছু ব্যবসায়িক সংগঠন মনে করেছে এই বিয়ের মরশুমে সব মিলিয়ে অন্তত ৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হবে। সেই প্রসঙ্গটিই এনেছেন মোদি। তিনি বলেন, 'শপিংয়ের সময় ভারতে তৈরি জিনিসপত্রকে গুরুত্ব দিন।'  


এই সময়েই তিনি আরও বলেন, 'একটা বিষয় আমাকে খুবই অস্বস্তি দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই এমনটা হচ্ছে। তাই ঘরের লোকের কাছেই আমি আমার এই যন্ত্রণা তুলে ধরছি। ইদানিং, কিছু পরিবার একটা নতুন ট্রেন্ড চালু করেছে, বিদেশে গিয়ে বিয়ে করা। এটা কি আদৌ প্রয়োজনীয়?' কেন এমনটা মনে করেন তিনি, সেটাও স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মতে, দেশের মাটিতে বিয়ে করলে দেশের টাকা এখানকার অর্থনীতিতেই থাকবে। কারণ, তেমন হলে দেশের মানুষই ব্যবসা করতে পারবে। 


বরাবরই Vocal for Local-এর পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার ফলও মিলেছে বলে এদিন জানিয়েছেন মোদি। গতবারের মন কি বাত-এ তিনি দেশের জিনিস কেনার বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরেই দীপাবলি, ভাইফোঁটা এবং ছটপুজোর সময় অন্তত ৪ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে বলে জানান তিনি।   


আরও পড়ুন: স্পর্শকাতর পরিবেশে যথেচ্ছ নির্মাণ, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন, উত্তরাখণ্ডে একের পর এক বিপর্যয়ে উঠছে প্রশ্ন