তিনি জওয়ানদের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণে বলেন, ভারতমাতার শত্রুরা আপনাদের তেজ, বীরত্বের কী শক্তি, সেটা দেখেছে। বিশ্বযুদ্ধ বা বিশ্বশান্তি, যা-ই হোক, যখনই দরকার পড়েছে, গোটা দুনিয়া আমাদের সাহসী জওয়ানদের বিজয় ও শান্তির লক্ষ্যে তাঁদের প্রয়াস দেখেছে। আমরা মানবতার উন্নতির জন্য কাজ করেছি বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। চিনকে পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেহ, লাদাখ থেকে সিয়াচেন, কার্গিল ও গালওয়ানের বরফ গলা জলে-প্রতিটা পাহাড়, শৃঙ্গ ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বের সাক্ষী। সম্প্রাসারণবাদের দিন শেষ, এটা উন্নয়নের সময়। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, সম্প্রসারণবাদী শক্তি হয় পরাজিত হয়েছে বা বাধ্য হয়ে পিছু হটেছে।
লাদাখের লিমুতে আহত জওয়ানদের কুর্নিশ করে তাঁরা ভারতের ভূখণ্ডের দিকে খারাপ নজরে তাকানো শত্রুদের মুখের মতো জবাব দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, যে সাহসী বীররা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁরা কোনও উদ্দেশ্য, কারণ ছাড়া যাননি। আপনারা সকলেই যোগ্য জবাব দিয়েছেন। আপনাদের সাহস, আপনারা যে রক্ত ঝরিয়েছেন, তা আমাদের যুবকদের, প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেশবাসীকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রত্যেককে ধন্য়বাদ দিতে এসেছি। এখান থেকে শক্তি সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছি। ভারত আত্মনির্ভর হবে। কখনও আমাদের মাথা ঝোঁকেনি, ঝুঁকবেও না। আপনাদের মতো বীর, সাহসীদের জন্যই এটা বলতে পারছি। আপনাদের মায়েদের প্রণাম জানাই যাঁরা আপনাদের মতো যোদ্ধাদের জন্ম দিয়েছেন।
সমতল থেকে ১১০০০ ফুট উপরে অবস্থিত নিমু জংস্কার পর্বতমালায় ঘেরা। কঠিন, প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত জওয়ানদের দেখতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যান চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। সেখানে শীর্ষ সেনা অফিসার, বায়ুসেনা, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পার্সনেল বাহিনীর শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।