গাঁধীনগর: প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে যে দৃঢ় সংস্কার সূচিত হয়েছে, আগামী বছরগুলিতে তা দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করবে। শনিবার এক অনুষ্ঠানে এমনই বললেন শিল্পপতি তথা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানি।


কোভিড অতিমারির ধাক্কা সামলে ভারতের অর্থনীতির হাল দ্রুত ফিরছে বলে দাবি করেছে্ মোদি সরকার। যদিও কংগ্রেস-সহ আরও কয়েকটি বিরোধী দল এই দাবির সঙ্গে একেবারেই একমত নন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছিলেন এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার তলানিতে ঠেকেছে। কিন্তু এসবের উল্টোপথে হেঁটে মুকেশ অম্বানি দাবি করলেন অর্থনীতির হাল ফিরবে, মোদির নির্দেশিত সংস্কারের হাত ধরেই। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শনিবার তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক, বহুমুখী-গতিশীল নেতৃত্ব বিশ্ব মানচিত্রে এক নতুন ভারতকে চিনতে শিখিয়েছে। তাঁর আত্মবিশ্বাস ও প্রত্যয় সমগ্র জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছে বা উদ্ভাসিত করেছে।


তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিত যে তাঁর নেতৃত্বে সাহসী সংস্কারগুলি আগামী দিনে ভারতে দ্রুত  অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করবে।


শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদি নন, গুজরাতের মু্খ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর নানান ভাবনা-পরিকল্পনা, শিল্পোদ্যোগের কথাও তুলে ধরেছেন মুকেশ অম্বানি। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় মোদির আত্মনির্ভর ভারতের অঙ্গ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।


দেশে শক্তি উৎপাদন সম্পর্কেও আশার কথা শুনিয়েছেন মুকেশ অম্বানি। তিনি জানিয়েছেন, অনেকে তাঁকে প্রশ্ন করেন পরিবেশের ক্ষতি না করে ভারতের অর্থনীতির সঙ্গে তাল রেখে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন এ দেশে সম্ভব কিনা?  এ প্রসঙ্গে তাঁর দাওয়াই জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে এগোতে হবে। সেজন্য নতুন শক্তির উৎস খুঁজতে হবে। সবুজ ও নীল হাইড্রোজেনের মতো শক্তির দিকে নজর দিতে হবে। অম্বানির পরামর্শ শুধু নতুন শক্তি উৎপাদন করলেই চলবে না, শক্তি সঞ্চয়ের পদ্ধতিও বের করতে হবে। শক্তি বিপ্লব এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্যে সমতা বজায় রাখতে পারলে ভারতকে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানি।