নয়া দিল্লি : অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস । দেশের অন্যতম সেরা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভিভিআইপি-দের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এই হাসপাতাল। এখানকার পরিষেবা অন্যন্ত আধুনিকমানের। কিন্তু, অনেক সময় দেশের বিভিন্ন কোণা থেকে সময়ে এই হাসপাতালে পৌঁছনো হয়ে ওঠে না রোগীদের। কাজেই, প্রয়োজনমতো এই মানের পরিষেবা চাইলেও পেয়ে ওঠেন না অনেকেই। সেই ঘাটতিই মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র।
দেশের সব রাজ্যে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠা করা হবে। ধাপে ধাপে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য আবাস সুরক্ষা যোজনায়(PMSSY) এইমস গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ২২টি এইমস গড়ার অনুমোদন পাওয়া গেছে। কাজও চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই কয়েকটিতে শুরু হয়েছে ওপিডি পরিষেবা।
পশ্চিমবঙ্গে নদিয়ার কল্যাণীতে গড়ে উঠছে এইমস হাসপাতাল। ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এর অনুমোদন মেলে। এই মুহূর্তে হাসপাতাল ও অ্যাকাডেমিক ক্যাম্পাসের কাজ ৯০ শতাংশের বেশি শেষ হয়ে গেছে। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ওপিডি পরিষেবা।
এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশের মঙ্গলাগিরি, মহারাষ্ট্রের নাগপুর, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর, পঞ্জাবের বাঠিণ্ডা, অসমের গুয়াহাটি, হিমাচলপ্রদেশের বিলাসপুর, তামিলনাড়ুর মাদুরাই, বিহারের দ্বারভাঙ্গা, জম্মু, কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ডের দেওঘর, গুজরাতের রাজকোট, তেলাঙ্গানার বিবিনগর ও হরিয়ানায় মানেথিতে গড়ে উঠছে এইমস।
এর মধ্যে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ওপিডি পরিষেবা চালু রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের এইমসে। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের এইমসের কাজ প্রায় ৯৩ শতাংশ হয়ে গেছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখানে ওপিডি পরিষেবা চালু আছে। পশ্চিমবঙ্গের মতোই একই বছরে মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশের এইমসের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন মেলে ২০১৫ সালে।
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এইমসের কাজ শেষ হয়েছে ৮৬.৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ওপিডি পরিষেবা। পঞ্জাবে ৮৬.১০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর ওপিডি পরিষেবা চালু হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায় উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাব।