কলকাতা: রাইটার্স বিল্ডিংয়ে প্রেস কর্নারের সামনে আচমকা চলল গুলি। গুলিতে মৃত এক পুলিশকর্মী। নিজের সার্ভিস রাইফেলের গুলি থেকেই মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর। আত্মহত্যা নাকি ‍ভুল করে চলেছে গুলি, তদন্তে পুলিশ।


ঘটনাটি ঘটে দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ। জানা গিয়েছে, মহাকরণের ৬ নম্বর গেটের সামনে দায়িত্বে ছিলেন ওই পুলিশকর্মী। বসেছিলেন চেয়ারে। আচমকা গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। সকলে ছুটে আসে। দেখা যায়, ওই পুলিশকর্মী লুটিয়ে পড়েছেন। পাশে পড়ে তাঁর সার্ভিস রাইফেল। গুলিতে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায় মুখ। মেঝেয় রক্তে ভেসে যাচ্ছে।


জানা গিয়েছে, গুলিতে মৃত কনস্টেবলের নাম বিশ্বজিৎ কারক। বয়স ৩৪ বছর। কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের ৫ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে। এখানে থাকতেন লেকটাউনে।  জানা গিয়েছে, গুলি মুখের নিচের দিকে ওপরের দিকে গেছে। মুখ ফুঁড়ে গুলি গিয়ে লাগে গেটের আর্চের দেওয়ালে।


ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মৃত পুলিশকর্মী যে গেটে দায়িত্বে ছিলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কোনও ভিআইপি বা ভিজিটর এলে, তাঁরা এই গেট দিয়েই প্রবেশ করেন।


পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুর আড়াইটায় রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ডিউটিতে যোগ দেন তিনি। এক ঘণ্টা পরই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনার পরই, ওই চত্বর ঘিরে রেখেছে পুলিশ। মহাকরণের দোতলায় যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের নীচে নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি।


পুলিশের সামনে এখন যে প্রশ্নগুলি ঘোরাফেরা করছিল তা হল-- গুলি কি অসাবধানতাবশত চলেছে? নিছক দুর্ঘটনা? না কি আত্মহত্যা? দুর্ঘটনাস্থল থেকে দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


যদিও পরে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, তাঁর সার্ভিস রাইফেলের সেফটি ক্যাপ খোলা ছিল। ফলে ট্রিগারে চাপ পড়তেই গুলি বেরিয়ে যায়। এইসব দেখে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন কনস্টেবল।


ডিসি সেন্ট্রাল সুধীর নীলাকান্তম জানান, অবসাদে ভুগছিলেন বিশ্বজিৎ। সেই সংক্রান্ত চিকিৎসাও চলছিল।  মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।