কলকাতা: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হল। জেড ক্যাটিগরির সুরক্ষা পাবেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের সুরক্ষায় থাকবেন সিআইএসএফের ৩৫ জন জওয়ান। এর আগে দিলীপ ঘোষের জন্য ছিল ওয়াই প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা।
রাজনৈতিক মহলের মত, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির থেকে বর্তমান রাজ্য সভাপতির সুরক্ষা আরও বেশি কড়া ও আঁটসাঁট করা হচ্ছে উপনির্বাচনী আবহে সুরক্ষার কথা ভেবে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মনে করেছেন যে বিপদ আরও বেশি সামনের দিকে। আগামী দিনে আরও বড় বিপদ আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নিশ্চয়ই আইবির কিছু ইনপুট রয়েছে সেই কারণে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। আমার জন্য অসুবিধা হবে। কারণ এর আগে আমি স্কুটি নিয়ে বালুরঘাটে ঘুরেছি। আগামী দিনে হয়তো একটু সমস্যা হতে পারে।"
নেতার মৃতদেহ নিয়ে কালীঘাটে বিজেপির মিছিল, পাল্টা বাড়ির সামনে পচা কুকুর ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রতিবাদে হাজরায় বিজেপির বিক্ষোভ। মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর পচা মাংসের সংস্কৃতিও তাঁদেরই আমদানি। কলকাতার মানুষকে ভাগাড়ের মাংস খাইয়েছেন। নিজে ঢিল মেরেছেন এখন তো পাটকেল খেতেই হবে। পাল্টা কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আক্রমণের সুরে বলেছিলেন, ‘বিজেপি প্রার্থী মারা গেলেন, তাঁকে পচা কুকুর বলছেন মমতা। এটা বাংলার সংস্কৃতি? মৃত্যুর পর সম্মান করা উচিত। একটি ভোট মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বার্তা, গণতন্ত্রে কারও ভোটাধিকার হরণ করা যায় না’।
এর আগে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দেহ নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ার অভিযোগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিল কালীঘাট থানার পুলিশ। একইসঙ্গে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ও বিজেপির দুই সাংসদ অর্জুন সিংহ, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল।