নয়াদিল্লি: দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্তের জন্য ৯ বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Delhi CM) ও আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (AAP chief Arvind Kejriwal) জেরার জন্য তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) তদন্তকারীরা। কিন্তু, একবারও তাঁদের ডাকে সাড়া দেননি আপ প্রধান। এর জেরে সম্প্রতি কেজরিওয়ালের বাসভবনে হানা দিয়ে দীর্ঘক্ষণ জেরার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে দেশজুড়ে। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার ৩১ মার্চ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে আমেরিকার তির্যক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া জবাব দেওয়া দিল্লির তরফেও।
এই বিষয় নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলে টানাপোড়েন যখন তুঙ্গে তখন জেলবন্দী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) নতুন একটি হলফনামা জমা করল হিন্দু সেনা (Hindu Sena) নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
আরও পড়ুন: EC: একুশের ভোটে কমিশনের গাড়িতে জ্বালানি ব্যবহার, চব্বিশেও মেটেনি টাকা, পাম্প বন্ধের আশঙ্কা
দিল্লি হাইকোর্টে নতুন ওই হলফনামাটি জমা করা হয়েছে হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তার তরফে। হলফনামায় তিনি দিল্লি হাইকোর্টের কাছে দাবি করেছেন যে দিল্লির উপরাজ্যপাল যেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে যাতে উপরাজ্যপাল রাজ্যের শাসনভার হাতে নেন তার নির্দেশ দেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি আবগারি নীতি দুর্নীতির মামলায় (Delhi liquor policy case) ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। কিন্তু, সেই মামলাটি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
সেই মামলাটি উঠেছিল দিল্লি হাইকোর্টের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনোমোহনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই বিষয়ের মেরিট নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিল। এই বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ বাঞ্চনীয় নয় বলে জানিয়ে ছিল। এই ডিভিশনের অন্য এক বিচারপতি মনমীত পিএস আরোরা জানান, এই বিষয়টির সমাধান সরকারের অন্য বিভাগগুলির আইন অনুযায়ী খতিয়ে দেখে করা উচিত।