নয়াদিল্লি : বুধবার সন্ধেয় সরকারীভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল হল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ নতুন করে শপথবাক্য পাঠ করালেন ৪৩ জনকে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় যেমন এলেন একঝাঁক নতুন মুখ, তেমনই সরে দাঁড়ালেন বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে এদিন পৌঁছয় এক বার্তা, যেখানে বলা ছিল, যাতে ১২ জন মন্ত্রীর ইস্তফাপত্র গৃহিত হয়। রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাভড়েকড়, হর্ষবর্ধন, সদানন্দ গোড়া, সন্তোষ গাঙ্গওয়াড় থেকে বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী, একাধিক পরিচিত মুখকে নবগঠিত মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে হল। 


যে ১২ মন্ত্রী ইস্তফা দিলেন-



  1. ডি ভি সদানন্দ গৌড়া

  2. রবিশঙ্কর প্রসাদ

  3. তাওয়াড়িচাঁদ গেহলট

  4. রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক

  5. হর্ষবর্ধন

  6. প্রকাশ জাভড়েকড় 

  7. সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়াড়

  8. বাবুল সুপ্রিয়

  9. দোর্তে সঞ্জয় সামারাও

  10. রতন লাল খট্টর

  11. প্রতাপ সিং সারাঙ্গী

  12. দেবশ্রী চোধুরী


বাংলার এতদিনের দুই প্রতিমন্ত্রীকেই ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা বলেও মোদি মন্ত্রিসভায় একধাক্কায় দ্বিগুণ হয়েছে বাংলার প্রতিনিধিত্ব। শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক ও সুভাষ সরকার স্থান পেলেন নবগঠিন মন্ত্রিসভায়। অবশ্য এবারেও মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় কোনও পূর্ণমন্ত্রী পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলার চার সাংসদই প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।


এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ড. হর্ষবর্ধন ও তাঁর ডেপুটি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবেকেও বাদ দেওয়ার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় বিরোধীরা। পাশাপাশি তাদের খোঁচা, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে কোভিড সামলাতে সরকার তার ব্যর্থতাকেই এক অর্থে স্বীকৃতি দিল। পাশাপাশি আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের ইস্তফা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কারণ বেশ কয়েকদিন ধরে ট্যুইটার, ফেসবুক, গুগল সহ একাধিক সংস্থার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মপালন নিয়ে বারবার শিরোনামে এসেছে রবিশঙ্কর প্রসাদের কড়া অবস্থান। শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো সন্তোষ কুমার গঙ্গওয়াড় ও পরিবেশ ও তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকড়কেও মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া বেশ চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত।