কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লী ও মুম্বই সফরে কংগ্রেসের সঙ্গে এক বিরোধী চিত্র ফুটে উঠেছিল। যা নিয়ে মমতার মুম্বই সফরেও নানা মতামত উঠেছিল। এবার অবশ্য মাঠে নামলেন প্রশান্ত কিশোর। এদিন তিনি বলেন, "সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের ভাবধারা ও ব্যাপ্তি শক্তিশালী বিরোধিতার জন্য জরুরি। কিন্তু কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেওয়া কোনও ব্যক্তির ঐশ্বরিক অধিকার হতে পারে না। বিশেষ করে গত ১০ বছরে যেখানে ৯০ শতাংশ ভোটে কংগ্রেস হেরেছে। এদিন নাম না করে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ প্রশান্ত কিশোরের। তিনি বলেন, "বিপক্ষের কে নেতা হবেন, তা গণতান্ত্রিকভাবে স্থির হোক।"
প্রসঙ্গত, বুধবার মুম্বই থেকে নাম না নিয়ে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই পথে হাঁটলেন তৃণমূলের ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। নাম না করে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে পিকে বলেন, ‘কংগ্রেসের নেতৃত্ব কোনও ব্যক্তির ঐশ্বরিক অধিকার নয়।’
এদিকে, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, "কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কয়েকটা দলকে নিয়ে একটা গ্রুপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমার মনে হয়ে এরপর ওরা সনিয়াজিকেও কী বলবেন, সেই ব্যাপারটাও ফেলে দেওয়া যায় না। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে একটা বড় ষড়যন্ত্র তৈরি হয়ে গেছে এবং এই ষড়যন্ত্রের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে বসে আছে বিজেপি। তারা জানে ভারতে কংগ্রেসের প্রভাব কতখানি। তাই তারা জানে সেটাকে আঘাত করতে গেলে মমতাকে দিয়ে করতে হবে। সেটাই তারা করছেন। নারদ নারদ বলে বলছে আরও লাগিয়ে দাও। এই প্রয়াস ব্যর্থ হবে।"
এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেছেন, "২০১৪য় কংগ্রেস লিডারশিপ ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৯-এ ব্যর্থ হয়েছে। এই কারণেই নরেন্দ্র মোদি এত বিশাল আসন নিয়ে আসতে পেরেছে। মমতা ও আমাদের দল চেয়েছিল এবারের বিকল্পটা একটা কাঠামোর মধ্যে দিয়ে হোক, যাতে কোনও ফাঁক না থাকে। একটা স্টিয়ারিং কমিটি, একটা সংবিধান...সেটা না করে শুধু হুজুকে, আজকে আমরা এই করব, সেই করব--এটা হতে পারে না। ফলে এই যে গঠনমূলক প্রস্তাব, তাতে কংগ্রেস এখনও সাড়া দেয়নি। কিন্তু তৃণমূল তো বসে থাকবে না। এখন বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে যদি কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে না পারে, যদি কংগ্রসের নেতারা নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারিয়ে দল ছাড়েন, তাহলে তো নিশ্চিভাবে তৃণমূল বিস্তার লাভ করবে।"
অন্যদিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, "পিকে তো কর্পোরেট প্রতিনিধি। প্রথমে ৫০০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। পরে তা ১৪০০ কোটি হয়েছে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য। মোদির জন্যও টেন্ডার নিয়ে কাজ করেছেন। নীতীশ কুমারে হয়েও কাজ করেছেন। এটা বলার জন্য হয়ত বিজেপির হয়ে টাকা পাবেন।"