কলকাতা : সৌমিত্র খাঁয়ের পর এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আরও এক নেতা। ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না বললেও তাঁর ফেসবুক পোস্টে 'বিরোধী নেতাকে বলব...' অংশটির ফন্ট বাড়িয়ে তাঁর নিশানা যে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কই, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।


বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরার জল্পনা নতুন করে বাড়িয়ে তোলা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'বিরোধী নেতাকে বলব... যার নেতৃত্বে ও যাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যহ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।'



এদিনই ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে যুব মোর্চার পদ ছাড়ার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, যা হচ্ছে, তা দলের পক্ষে খারাপ হচ্ছে। বারবার দিল্লিতে গিয়ে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে চলে আসছে। নরেন্দ্র মোদির প্রতি আমার আস্থা আছে। কিন্তু একজন নেতা এসে বলছেন, তাঁর নেতৃত্বে সবকিছু হচ্ছে। আমি এলাকায় না ঢুকেই ভোটে জিতেছিলাম।বা রবার দিল্লি গিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন, দেখাচ্ছেন যেন পার্টির জন্য জীবন দিয়েছেন। দলের জন্য আমাদেরও অনেক আত্মত্যাগ আছে। কেউ নিজেকে বড় বিজেপি নেতা দেখানোর চেষ্টা করছেন। বিরোধী দলনেতা নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। নতুন নেতা এসে, দিল্লির নেতাকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করছেন। ভোটের আগে সব চোর-চিটিংবাজকে দলে যোগদান করিয়েছিলেন।'


যে ঘটনা সামনে আসার পরই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ট্যুইট করে কটাক্ষের সুরে বলেছেন, 'কেমন যেন পোড়া পোড়া গন্ধ। দমবন্ধের ভাব। যুবনেতা থেকে বাহুবলী, নেত্রী থেকে ডাক্তারবাবু, ভারী উদাসী মন। আর আদি বিজেপি? জাদুঘরে আলাদা গ্যালারিতে স্মারক হিসেবে থাকুক। শপথ দেখে অনেকে বিপথে না যায়!!'