নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার ছয়টি শূন্য আসনের উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৬টি আসনে উপ-নির্বাচন হবে ৪ অক্টোবর।
কমিশন অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর দুটি আসন এবং পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের একটি করে আসনে ৪ অক্টোবর ভোট হবে।
পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু এবং মধ্যপ্রদেশের সদস্যদের পদত্যাগের ফলে রাজ্যসভার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি খালি হয়। মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব শঙ্কররাও সাতভের মৃত্যুর পর ষষ্ঠ আসনটি শূন্য হয়ে পড়ে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করতে হয়েছিল মানস ভুঁইঞাকে। একইভাবে, অসম বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দেন বিশ্বজিৎ দাইমারি, যিনি বর্তমানে অসম বিধানসভার স্পিকার।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মহারাষ্ট্রের রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব সতভ মারা যাওয়ার ফলে তাঁর আসনটি খালি পড়ে যায়। সম্প্রতি, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের সময় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাওয়র চন্দ গহলৌতকে কর্ণাটকের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এর ফলে, তাঁর আসনটিও ফাঁকা হয়ে যায়।
এআইএডিএমকে নেতা কেপি মুনুসামি এবং আর বৈথিলিংম বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পদত্যাগ করায় তামিলনাড়ু থেকে দুটি আসন খালি রয়েছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ত্রিপুরার নেত্রী সুস্মিতা দেব সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন। অসমের সিলচর আসন থেকে লোকসভার সাংসদ ছিলেন সুস্মিতা। ২০১৯ নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।
অসমের আসন থেকে সম্ভবত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। গত পাঁচ বছর অসমের শাসনভার নিজের হাতে রাখার পর ২০২১ সালে হিমন্ত বিশ্বশর্মার হাতে দায়িত্বভার তুলে তিনি দিল্লি পাড়ি দেন।
কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৭ তারিখ। ভোট (যদি প্রয়োজন হয়) ৪ অক্টোবর। ফল ঘোষণা সেদিনই।