সিমলা: লোকসভা নির্বাচন (Loksabha elections 2024) শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস (Congress)। শনিবার হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) শতাব্দী প্রাচীন এই দল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন তাদের ৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ক (Rebel MLA)। সিমলায় হিমাচল প্রদেশের বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব বিন্দাল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের (Union Minister Anurag Thakur) উপস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পাটির পতাকা তুলে নেন ওই ৬ জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক। ওই দলত্যাগী বিদ্রোহী বিধায়করা হলেন, সুধীর শর্মা, রবি ঠাকুর,ইন্দর দত্ত লখনপাল, দেবেন্দ্র ভুট্টো, রাজেন্দ্র রানা ও চৈতন্য শর্মা। তাঁদের বিজেপিতে যোগদানে ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে হিমাচলে প্রদেশে কংগ্রেস বড় ধরনের ধাক্কা খেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 


ওই বিধায়কদের পাশাপাশি গতমাসে রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়া তিনজন নির্দল বিধায়কও শনিবার বিজেপি যোগ দেবেন বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গেছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য ওই তিনজন বিধায়ক হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা থেকে পদত্যাগও করেছেন। আর তার পরেই তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দার সিং সুখুর (Sukhvinder Singh Sukhu) বিরুদ্ধে। ২২ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর এবং অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের উপস্থিতিতে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার সচিব যশপাল শর্মার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন হামিরপুরের নির্দল বিধায়ক আশিস শর্মা, দেহরা বিধানসভার নির্দল বিধায়ক হোশিয়ার সিং ও নালাগড় বিধানসভার নির্দল বিধায়ক কে এল ঠাকুর।


পদত্যাগ করার পর এপ্রসঙ্গে দেহরা বিধানসভার নির্দল বিধায়ক হোশিয়ার সিং বলেন, "আমরা বিজেপিতে যোগদান করছি এবং তাদের প্রতীকেই নির্বাচনে লড়াই করব। রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে হোশিয়ার সিং আরও বলেন, কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি-কে ভোট দেওয়ার বিষয়টি মন থেকে মেনে নিতে পারছিলাম না আমরা। তাই রাজ্যসভা নির্বাচনে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভোট দেওয়াটা আমাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। আমরা সেটা প্রয়োগ করাতে রাজ্যসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্য সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হচ্ছি আমরা। এই পরিস্থিতির ফলে আমরা পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিই। পাশাপাশি আমরা ঠিক করেছি যে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাদের প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই করব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে দেশ তথা রাজ্যকে শক্তিশালী করার পথে এগিয়ে যাব।"


হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ কুলদীপ সিং পাঠানিয়া ওই নির্দল বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নির্দল বিধায়করা তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে কী কারণে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেননি। এই বিষয়ে নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।" 


আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিতে গণতান্ত্রিক নীতির উল্লেখ জার্মানির, ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’ বলছে দিল্লি