কলকাতা : "জানতে চাই মাননীয়া বহরমপুরে কখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছেন ?" বহরমপুরে নারকীয় হত্যাকাণ্ড নিয়ে ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত শুভেন্দু অধিকারীর । বহরমপুরের ঘটনা নিয়ে পর পর ট্যুইট বিরোধী দলনেতার।


ট্যুইটারে তিনি লিখলেন, "পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির চরম নিদর্শন। আততায়ীদের মনে প্রশাসনের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে যে এমন গর্হিত অপরাধ করার সময় বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই রাজ্যে অস্ত্র জোগাড় করা ভুসিমাল দোকান থেকে মাল নেওয়ার মতোই সহজ। মহিলারা কি কখনো নিজেদের সুরক্ষিত মনে করতে পারবেন?"



অপর একটি ট্যুইটারে তিনি লেখেন, "জানতে চাই মাননীয়া বহরমপুরে কখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছেন? আপনার শাসনকালে অপরাধীদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি আইন শৃঙ্খলার অবনতির দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন এবং যোগ্য কাউকে দায়িত্ব দিন।"



বহরমপুরে নারকীয় হত্যাকাণ্ড-


গোরাবাজার। মুর্শিদাবাদের সদর শহর বহরমপুরের অভিজাত এলাকা। ভর সন্ধেয় গলির মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক তরুণী। আর ধারালো অস্ত্র হাতে তাঁকে একের পর এক কোপ মেরে চলেছে এক যুবক। কখনও হাতে, কখনও মুখে। রক্তে ভিজে যাচ্ছে মাটি। রক্তাক্ত তরুণী তখন নিস্তেজ। তবু পা অল্প নড়ছে। আর যুবক এক হাতে ধারালো অস্ত্র। আরেক হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাগে গজরাচ্ছে। কখনও কোপ মারছে। তখন গলিতে এই কাণ্ড দেখে অনেকে জড়ো হয়েছেন! কিন্তু, যুবককে ওই অবস্থায় দেখে কেউ এগিয়ে আসার সাহস পায়নি।


ভিডিওয় দেখা যায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই...ছাত্রীর পিঠে পরপর দু’বার কোপ মারল যুবক, সজোরে লাথি। এরপর পকেট থেকে মোবাইল বের করে, যেন কিছুই হয়নি! একেবারে নির্লিপ্ত অবস্থায় মোবাইল ফোন ঘাঁটতে শুরু করল!


প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই, ফের হামলা। আবারও ছাত্রীর পিঠে পরপর তিনবার ছুরি দিয়ে আঘাত করল সে। এরপর, ছাত্রীর গলা ও মুখে পর পর আরও পাঁচবার কোপ মারে অভিযুক্ত। যা দেখে শিউরে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।


হত্যাকাণ্ড চালানোর সময়, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে স্থানীয়দের ভয় দেখায় যুবক। এরপর এলাকা থেকে চম্পট দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তরুণীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।  


নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়েছে যে, বহরমপুরের গোরাবাজারে সেই মেস ছাড়তে শুরু করেছেন ছাত্রীরা। ভরসন্ধেয় জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকরাও।