অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: মুকুল রায়ের পর এবার শুভেন্দু অধিকারী। সিঙ্গুর থেকে টাটাদের চলে যাওয়া নিয়ে ক্ষমা চাইলেন তিনিও। বললেন, ‘‘সিঙ্গুর নিয়ে ভুল হয়েছিল। তখন আমি শুধু ল্যাম্পপোস্ট ছিলাম...।’’ এনিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল ও বামেরা।
শুভেন্দু অধিকারী জানান, ‘‘সিঙ্গুরের সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বেকারদের স্বপ্ন ধূলিসাত্ করেছেন। আমি ক্ষমা চাইছি ৷’’
একসময় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতি! নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের অন্যতম কারিগর! এখন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিশ্বস্ত লেফটেন্যান্ট! নেতার পর এবার বদলে গেল ২০১১-এ তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে অন্যতম প্রধান ফ্যাক্টর ‘সিঙ্গুর’ নিয়েও মূল্যায়ণও!
কী শুভেন্দু অধিকারী, কী মুকুল রায়! দু’জনের মুখেই এক কথা ৷ শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ‘‘সিঙ্গুরের সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বেকারদের স্বপ্ন ধূলিসাত্ করেছেন। মানুষের ভোটে সিঙ্গুরের মানুষ তৃণমূলকে রিজেক্ট করেছে। সেদিন ল্যাম্প পোস্ট ছিলাম। মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগানো ছিল। বলেছে হাত তুলেছি। মনে মনে দগ্ধ হয়েছি...৷ ’’
কিছুদিন আগে ঠিক একই কথা শোনা গিয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটাকে সরানোর আন্দোলনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান সেনাপতি মুকুল রায়ের গলায় ৷ ‘‘তৃণমূলের হয়ে সব সুবিধা ভোগ করে, এখন বোধোদয়ের নাটক করছেন...!’’ পাল্টা খোঁচা দিয়ে বলেছেন কুণাল ঘোষ।
সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করার সুর ধরে মুকুল রায় আগেই বলেছিলেন, ' সিঙ্গুরে পা দিলেই একটা পাপবোধ হয়।'
সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা না হতে দেওয়ার জন্য ভুল স্বীকার করলেন! কিন্তু, নন্দীগ্রামে কেমিক্যাল হাব হতে না দিয়ে বাংলার যে ক্ষতি করেছিলেন, আজ কি তার জন্যও ক্ষমা চাইবেন শুভেন্দু অধিকারী? এমনটাই প্রশ্ন বামেদের।
২০০৬ সালে ক্ষমতায় এসেই সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে শিল্পায়নে উদ্যোগী হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য! শেষপর্যন্ত আন্দোলনের জেরে কোনওটাই হয়নি! বুদ্ধবাবু সদ্য হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন! আর বিরোধীরা দাবি করছেন, পশ্চিমবঙ্গের কর্মসংস্থান এখনও ভেন্টিলেশনেই রয়ে গিয়েছে!