চন্দননগর: ‘গোলি মারো’ স্লোগান নিয়ে যেন তৃণমূল-বিজেপি টক্কর চলছে! মঙ্গলবার, টালিগঞ্জ-হাজরা রুটে তৃণমূলের শান্তি মিছিল থেকে ভেসে এসেছিল গোলি মারোর স্লোগান। যা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছিল বিজেপি। কিন্তু তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না।
বুধবার হুগলির চন্দননগরের রথতলা মোড়ে, বিজেপির মিছিলেও শোনা গেল ‘গোলি মারো’ স্লোগান। যাঁকে এই স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে সেই সুরেশ সাউ হলেন, হুগলি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির যুব সভাপতি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এই মিছিলেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা ৷ নিশানায় যে বিরোধীরা, তা নিজেই স্বীকার করেছেন বিজেপির যুব নেতা। কিন্তু স্লোগান বিতর্ক নিয়ে গেরুয়া শিবিরের মধ্যেই রয়েছে ভিন্নমত। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘‘ সমর্থন করি না, ভুল করেছে, তবে গতকালের সঙ্গে মেলালে চলবে না ৷’’ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ আমাদের কেউ বলতেই পারে না। তৃণমূল মিছিলে লোক ঢুকিয়ে এটা করেছে ৷’’
নিজেরা সমালোচিত হওয়ার পর এবার বিজেপির সমালোচনায় সরব তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন ‘‘আমরা তো কাল নিন্দা করেছিলাম, বিশাল জনসমুদ্র থেকে দু-তিনজন স্লোগান করেছিল ৷ যারা সেটা শুনে নীতির কথা শোনালেন, তাঁদের মিছিলেই গোলি মারো স্লোগান!’’
বছরখানেক আগে প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়েছিলেন মোদি মন্ত্রিসভার অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ওই বছরই মার্চে, অমিত শাহর সভায় যাওয়ার পথে, গোলি মারো স্লোগান উঠেছিল ভবানীপুরে। যা দেখে বিজেপি ও তৃণমূলকে এক ব্র্যাকেটে ফেলে আক্রমণ করেছে বাম ও কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, ‘‘ এটা নিন্দার। বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। গতকাল তৃণমূলের মিছিলে শুনলাম। আজ বিজেপির। কী বলবেন ওনারা এখন?’’
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বলেছিলেন মানবজাতির প্রগতির জন্য গাঁধী অপরিহার্য। আইনস্টাইন গাঁধীকে আগামী প্রজন্মের রোল মডেল বলতেন। আর অহিংসার পূজারীর দেশেই এখন রাজনীতির এই হাল!