আবীর দত্ত, কলকাতা: নির্বাচনের আগেই রাজ্যে অমিত শাহ বৈঠক করবেন ৷ আগামী ৩০ জানুয়ারি নিউটাউনে হবে এই বৈঠক। সেই বৈঠকে আইজি ও ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকবেন CRPF অধিকারিকদের সঙ্গে। নির্বাচনের আগে কত সেন্ট্রাল ফোর্স আসবে তা নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে রাজ্যে আসবে একশো কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার আগে অমিত শাহের সঙ্গে CRPF অধিকারিকদের এই বৈঠক যথেষ্ট তৎপর্যপূর্ণ ।


CRPF সূত্রে খবর, নির্বাচনের আগে দুই কোম্পানি বাহিনী আগেই পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে। ভিআইপি নিরাপত্তার জন্য পাঠানো হয়েছিল এই বাহিনী । খড়্গপুর ও দুর্গাপুরে রাখা হয়েছে সেই বাহিনী। কেন্দ্রের নির্দেশ এলে তবেই দেওয়া হবে কোনও ব্যক্তিকে নিরাপত্তা। এছাড়া সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে জঙ্গলমহলে। যদিও নির্বাচনের সময় সেন্ট্রাল ফোর্স কীভাবে কাজ করবে তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানোতোর আগে থেকেই তুঙ্গে থাকে। অভিযোগ ওঠে সেন্ট্রাল ফোর্সকে ভুল রাস্তায় নিয়ে যায় পুলিশ। আবার সেন্ট্রাল ফোর্স বুথের বাইরেও বিনা কারণে মারধর করে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ থাকলেও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষা রাজনৈতিক দল থেকে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীও, সেন্ট্রাল ফোর্স কী বুথের ভেতর থাকবে ? সেন্ট্রাল ফোর্সকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পুলিশ নিয়ে যাবে, নাকি ফোর্সের কোনও আধিকারিক সিদ্ধান্ত নেবেন? জওয়ানদের ভাষার সমস্যার জন্য কী বাংলা জানা অফিসারদের বেশি করে পাঠানো হবে? CRPF অধিকারিকদের নির্বাচনের আগে এই সব বিষয়েও কিছু নির্দেশ দিতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ।


এই বৈঠককে চূড়ান্ত কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের । দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "অমিত শাহের এই প্রস্তুতি "হাল্লা চলেছে যুদ্ধে "-র মতো । আর অমিত শাহ হাল্লা রাজার মতো প্রভাব দেখিয়েও লাভ নেই । কোনও লাভ হবে না । এভাবে ভয় তৈরি করা যায়না । নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্ট যেন না আচরণ করে CRPF । সঠিক ভাবে নির্বাচন হলে জিতবে তৃণমূলই ।’’ অন্যদিকে বিজেপি এই বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে। "