বিজেপি: 38%
তৃণমূল: 43%
বাম+কংগ্রেস: 12 %
অন্যান্য: 7%
* সূত্র: সি ভোটারের সমীক্ষা
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোন দল কটি আসন পেতে পারে ?
বিজেপি: 98-106
তৃণমূল: 154-162
বাম+কংগ্রেস: 26-34
অন্যান্য: 2-6
* সূত্র: সি ভোটারের সমীক্ষা
- ৩৪ বছরের বাম শাসনের পর, বাংলার বাইরে যে কটি রাজ্যের রাজনীতি নিয়ে বাঙালিদের আগ্রহ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল গডস ওন কান্ট্রি কেরল। কেরলই গোটা দেশে একমাত্র রাজ্য যেখানে বামেরা ক্ষমতায় আছে। কেরলের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, কোনও দলই সেখানে পরপর দু’বার ক্ষমতায় আসেনি। একবার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ, আর একবার বাম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ। কেরলে গত কয়েক বছর ধরে জমি তৈরির মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি। কান্নুরে আরএসএস এবং সিপিএমের মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে বারবার। সবরীমালা ইস্যু থেকে শুরু করে বন্যা কিংবা করোনা, অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। যার সুফল তিনি পেয়েছেন সাম্প্রতিক স্থানীয় প্রশাসনের ভোটে। এবার বিধানসভা ভোটে কী হতে পারে তা দেখে নেওয়া যাক।কেরলে এখন ক্ষমতায় বামেরা। আবার এই কেরলের ওয়ানাড থেকেই সাংসদ রাহুল গাঁধী। কেরল মূল লড়াই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফের সঙ্গে বাম নেতৃত্বাধীনে এলডিএফের। সি ভোটারের পরিসংখ্যান বলছে, নজিরবিহীনভাবে দ্বিতীয়বার কেরলে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বাম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ ৷ ১৪০ আসন বিশিষ্ট কেরলে তারা পেতে পারে ৮১ থেকে ৮৯টি আসন ৷ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেতে পারে ৪৯ থেকে ৫৭টি আসন ৷ অমিত শাহ বলেছিলেন বাংলা, ওড়িশা কেরল, তামিলনাড়ু দখল করতে না পারলে বিজেপির স্বর্ণযুগ এসেছে এটা বলা যাবে না। কিন্তু সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে এবারও কেরলে চূড়ান্ত ব্যর্থ হতে পারে বিজেপি। তারা সর্বোচ্চ ২টি আসন পেতে পারে। অন্যান্য পেতে পারে সর্বোচ্চ ২টি আসন।এলডিএফ পেতে পারে ৪২ শতাংশ ভোট ৷ ইউডিএফ পেতে পারে ৩৫ শতাংশ ভোট ৷ বিজেপি পেতে পারে ১৫ শতাংশ ভোট ৷ অন্যান্য পেতে পারে ৮ শতাংশ ভোট ৷সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পদে জনপ্রিয়তার নিরিখে সবার প্রথমে রয়েছেন পিনারাই বিজয়ন ৷ ২ নম্বরে রয়েছেন কংগ্রেসের উমেন চান্ডি ৷ এরপর রয়েছেন দারুণভাবে কোভিড সামলানো স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা ৷ তারপর শশী তারুর ৷
- কেরলে রমেশ চেন্নিথালা-উমেন চান্ডি দ্বন্দ্বে জীর্ণ কংগ্রেস যে পিনারই বিজয়নের দিকে কোনও চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দিতে পারেনি কিংবা সাম্প্রতিককালে কেরল সিপিএমের একাধিক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে তারা যে হাতিয়ার করতে পারেনি তা সি ভোটারের সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট।
- পুদুচেরিতে মূল লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেস থেকে ভেঙে তৈরি হওয়া দল AINRC-র কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রয়েছে ডিএমকে। অন্যদিকে AINRC-র সঙ্গে জোটে রয়েছে বিজেপি ও এআইএডিএমকে সিভোটেররা সমীক্ষায় ইঙ্গিত, কাঁটায় কাঁটায় টক্করে কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবার পুদুচুরিতে ক্ষমতা দখল করতে পারে এনডিএ। ৩০ আসনের বিধানসভায় তারা পেতে পারে ১৪ থেকে ১৮টি আসন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন SDA পেতে পারে ১২ থেকে ১৬টি আসন AINRC-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ৪৪ শতাংশ ভোট কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট পেতে পারে ৪৩ শতাংশ ভোট ৷
- সিভোটারের সমীক্ষায় ইঙ্গিত, কাঁটায় কাঁটায় টক্করে কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবার পুদুচুরিতে ক্ষমতা দখল করতে পারে এনডিএ।৩০ আসনের বিধানসভায় তারা পেতে পারে ১৪ থেকে ১৮টি আসনকংগ্রেস নেতৃত্বাধীন SDA পেতে পারে ১২ থেকে ১৬টি আসন AINRC-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ৪৪ শতাংশ ভোটকংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট পেতে পারে ৪৩ শতাংশ ভোটঅভিনেতা কমল হাসানের দল MNM প্রথমবার ভোটে লড়ে আসন না পেলেও, ২ শতাংশ ভোট পেতে পারে।বাকিদের ঝুলিতে যেতে পারে ১১ শতাংশ ভোটসমীক্ষা অনুযায়ী ক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনা জোরাল হলেও এখনও পুদুচেরিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন কংগ্রেসের ভি নারায়ণস্বামী ৷ তারপর এম রঙ্গস্বামী ৷
- ১) শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ায় কি আসন্ন বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বড়সড় ধাক্কা খাবে ?
- হ্যাঁ - 46%
না - 35%
বলতে পারব না - 19%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ২) বিধানসভা ভোটে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে লড়াইয়ে নামলে কি বিজেপির বাড়তি সুবিধা হবে?হ্যাঁ - 37%
না - 36%
বলতে পারব না - 27%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ৩) সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে রাজি হলে কি বিজেপির বাড়তি সুবিধা হবে?হ্যাঁ - 48%
না - 33%
বলতে পারব না - 19%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ৪) আপনার মতে কাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটে লড়লে বিজেপির সাফল্যের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি?সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় - 34%
দিলীপ ঘোষ - 15%
শুভেন্দু অধিকারী - 12%
এদের মধ্যে কেউ না - 39%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ৫) ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ফলে কি আসন্ন বিধানসভা ভোটে তৃণমূল লাভবান হবে?হ্যাঁ - 46%
না - 37%
বলতে পারব না - 17%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ৬) আসন্ন বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোটের ফলে লাভ কার?তৃণমূল - 37%
বিজেপি - 33%
বাম-কংগ্রেস জোট - 13%
বলতে পারব না - 17%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ৭) সারদা-নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের দলে নেওয়ায় কি বিজেপির ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে?হ্যাঁ - 48%
না - 30%
বলতে পারব না - 22%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ৮) বিজেপির ‘তোলাবাজ ভাইপো’ স্লোগান কি বিধানসভা ভোটের আগে মানুষের মনে দাগ কাটতে পারবে?হ্যাঁ - 42%
না - 34%
বলতে পারব না - 24%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ৯) ভোট-কৌশল ঠিক করতে, প্রশান্ত কিশোরকে এনে কি তৃণমূল নিজেদের ‘বহিরাগত’ স্লোগানই ভোঁতা করে ফেলল?হ্যাঁ - 39%
না - 24%
বলতে পারব না - 37%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ১০) অমিত শাহের ভবিষ্যদ্বাণী, বিধানসভা ভোটে বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পাবে। প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জ, বিজেপি একশোটি আসনও পাবে না। আপনার মতে, কার ভবিষ্যদ্বাণী মিলবে?অমিত শাহ - 41%
প্রশান্ত কিশোর - 36%
বলতে পারব না - 23%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ১১) আসন্ন বিধানসভা ভোটে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে?তৃণমূল - 43%
বিজেপি - 38%
বাম+কংগ্রেস - 12%
অন্যান্য - 8%* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ১২) গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের তুলনায় এবারের ভোটে কোন দলের প্রাপ্ত ভোটের হার কত বাড়তে বা কমতে পারে ? দল ২০১৬ ২০২১ (জনমত সমীক্ষা)
---- ------- -------- -----
তৃণমূল 45% 43% (-2)
বিজেপি 10% 38% (+28)
বাম+কংগ্রেস 40% 12% (-28)* সূত্র: সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা - ১৩) গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের তুলনায় এবারের ভোটে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার কত বাড়তে বা কমতে পারে? ২০১৬ - 45%
২০২১ - 43% (জনমত সমীক্ষা, সূত্র - সি ভোটার) *** - ১৪) গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের তুলনায় এবারের ভোটে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার কত বাড়তে বা কমতে পারে? ২০১৬ - 10%
২০২১ - 38% (জনমত সমীক্ষা, সূত্র - সি ভোটার) *** - ১৫) গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের তুলনায় এবারের ভোটে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রাপ্ত ভোটের হার কত বাড়তে বা কমতে পারে? ২০১৬ - 40%
২০২১ - 12% (জনমত সমীক্ষা, সূত্র - সি ভোটার) *** - ১৬) আপনার মতে, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে কোন দল জিততে চলেছে?বিজেপি - 41%
তৃণমূল - 33%
বাম+কংগ্রেস - 7%
বলতে পারব না - 19%* সূত্র - সি ভোটারের সমীক্ষা
(দেশজুড়ে ১২ সপ্তাহ ধরে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর সমীক্ষা করে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে)*** - ১. নিজের এলাকার সাংসদের কাজে আপনি কতটা খুশি?অত্যন্ত সন্তুষ্ট - 30%
আংশিক সন্তুষ্ট - 30%
চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট - 32%
বলতে পারব না - 8%* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা - ২. নিজের এলাকার বিধায়কের কাজে আপনি কতটা খুশি?অত্যন্ত সন্তুষ্ট - 26%
আংশিক সন্তুষ্ট - 31%
চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট - 33%
বলতে পারব না - 10%* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা - ৩. আপনার মতে এই মুহূর্তে বাংলার সবথেকে বড় সমস্যা কোনটি? দুর্নীতি - 9%
বেকারত্ব - 27%
দারিদ্র - 11%
সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ - 4%
মূল্যবৃদ্ধি - 7%
কৃষকদের সমস্যা - 1%
করোনা - 21%
স্থানীয় সমস্যা - 15%
বলতে পারব না - 4%* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা - ৪. পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাজে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? অত্যন্ত সন্তুষ্ট - 36%
আংশিক সন্তুষ্ট - 36%
চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট - 27%
বলতে পারব না - 1%* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা - ৫. রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাজে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? অত্যন্ত সন্তুষ্ট - 43%
আংশিক সন্তুষ্ট - 32%
চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট - 22%
বলতে পারব না - 3%* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা - ৬. রাজ্যের বিরোধী দলের নেতাদের কাজে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? অত্যন্ত সন্তুষ্ট - 13%
আংশিক সন্তুষ্ট - 32%
চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট - 42%
বলতে পারব না - 13%* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা - ৭. গত এক বছরে আপনার জীবন যাত্রার মান (পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে) ভাল হয়েছে - 23%
একই আছে - 37%
খারাপ হয়েছে - 40%
বলতে পারব না - 1%* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা - ৮. কার ওপর আপনি সবথেকে ক্ষুব্ধ? সুযোগ পেলে এরমধ্যে কোথায় এখনই পরিবর্তন আনবেন? (পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে) পঞ্চায়েত প্রধান/মেয়র - 1%
গ্রাম পঞ্চায়েত/পুরসভা - 8%
পঞ্চায়েত সদস্য - 8%
মুখ্যমন্ত্রী - 10%
রাজ্য সরকার - 14%
বিধায়ক - 3%
বলতে পারব না - 56%* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা - ৯. এর মধ্যে কোন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা সব থেকে বেশি?কেন্দ্রীয় সরকার - 12%
রাজ্য সরকার - 27%
স্থানীয় প্রশাসন - 17%* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা
আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে ?
বিজেপি: 38%
তৃণমূল: 43%
বাম+কংগ্রেস: 12 %
অন্যান্য: 7%
* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোন দল কটি আসন পেতে পারে ?
বিজেপি: 98-106
তৃণমূল: 154-162
বাম+কংগ্রেস: 26-34
অন্যান্য: 2-6
* সূত্র সি ভোটারের সমীক্ষা
কলকাতা: ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জারি হতে পারে রাজ্যে ভোটের বিজ্ঞপ্তি। জানুয়ারিতেই আসতে পারে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেক্ষেত্রে এপ্রিলের মধ্যেই ভোটপর্ব শেষ করার চেষ্টা করা হবে। তার আগেই আজ সন্ধ্যা সাতটায় এবিপি আনন্দ চ্যানেলে সরাসরি দেখানো হবে সি ভোটার ওপিনয়ন পোল। রাজ্যবাসীর মুড বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে তাতে। নানা ইস্যুতে শাসক দলের ওপর মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, এবার রাজ্যবাসী ব্যালটে তার জবাব দেবেন বলে জানিয়ে ফায়দা তুলতে মাঠে নেমেছে বিজেপি। ভোটাররা শাসক দলের ওপর কতটা ক্ষুব্ধ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁদের মনোভাব, বিজেপিকে গ্রহণ করতে তাঁরা কতটা ইচ্ছুক, তারই কিছুটা আভাস মিলবে এই সমীক্ষায়। তার সঙ্গে দেখুন, সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য নিয়ে বিভিন্ন শিবিরের রাজনৈতিক নেতারা কী বলছেন?
গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল ৬ পর্যায়ে, শুরু হয় ২০১৬-র ৪ এপ্রিল, শেষ হয় ৫ মে। ১৭ এপ্রিল হয় দ্বিতীয় দফার ভোট, ২১ তারিখ তৃতীয় দফা, ২৫-এ চতুর্থ, ৩০-এ পঞ্চম এবং ৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোট হবে। ১ মাসের বেশি সময় ধরে চলে নির্বাচন, ভোট গণনা হয় ১৯ মে। ৭৭২৪৭ পোলিং বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সাড়ে ৬ কোটির বেশি ভোটার। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরই চালু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি।
২০১১-য় বিপুল জয়ের পর ২০১৬-য় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে তাদের ক্ষমতা আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। ২৯৩টি আসনে লড়ে তারা জেতে ২১১টি আসন, ২০১১-র থেকে ২৭টি বেশি। গতবার শাসক দলের বিরুদ্ধে জোট বেঁধে লড়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট। এবারেও সেই জোট হচ্ছে কিন্তু তাদের কার্যত পিছনে ঠেলে দিয়ে সরকারের প্রতিস্পর্ধী মুখ হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি, ২০১৬-য় যারা মাত্র ৩টি আসন পায়। সাধারণ মানুষ তো বটেই, সরকারপক্ষও মেনে নিয়েছে, এবার লড়াইটা হবে হাড্ডাহাড্ডি আর দীর্ঘদিন পর এই প্রথম কোনও বিধানসভা ভোটে বামেরা চ্যালেঞ্জ জানানোরও জায়গায় নেই। গত লোকসভা নির্বাচনের ৭ শতাংশ ভোটার ধরে রাখাই এখন তাদের প্রধান চেষ্টা। আর রাজ্যের ক্রমবর্ধমান অনুপ্রবেশ সমস্যা, শাসক দলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের গুরুতর অভিযোগ, আমফানের সময় একাধিক দুর্নীতি ও আরও নানা ইস্যুকে সামনে রেখে হু হু করে বিজেপির উত্থান হয়েছে। তাদের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ একাধিকবার এ রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন, গ্রামের মানুষের বাড়ি গিয়ে খেয়েছেন, আবার আসবেন শিগগিরই, মতুয়াদের সঙ্গে সিএএ নিয়ে কথা বলতে। ঘুরে গিয়েছেন বর্তমান সভাপতি জে পি নাড্ডাও, তাঁরও আবার এ রাজ্যে আসার কথা। আসতে পারেন বিজেপির শ্রেষ্ঠ ক্রাউড পুলার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। আজই দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারীদের সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠক, আলোচনা হবে আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপির ঘুঁটি সাজানো নিয়ে। এর মধ্যে বিজেপি নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছে তৃণমূলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ শুভেন্দু অধিকারীকে।
এ রাজ্যে ভোট মানেই রক্ত ঝরার পুরনো ইতিহাস। বিজেপির অভিযোগ, তাদের ১০০-র বেশি কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল, গত পঞ্চায়েত ভোটেও তুমুল অশান্তি হয়েছে। আশঙ্কা, এবারের বিধানসভা ভোটও একই পথে হাঁটতে পারে, পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে নাকি ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ফেব্রুয়ারি মাসেই কি রাজ্যের হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে? চালু হয়ে যাবে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি? এপ্রিলেই কী ভোট? ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈনের বঙ্গ সফরের শেষ দিনে এমনই সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে। আজ প্রকাশিত হচ্ছে রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তবে এরপরেও ভোটে নাম তোলা বা সংশোধনীর কাজ চলবে। এই মুহূর্তে রাজ্যের মোট নির্বাচনী বুথের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৯০৩টি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতিতে সেই বুথের সংখ্যাই ১ লক্ষ পেরিয়ে যেতে পারে।
West Bengal Election 2021 Opinion Poll LIVE Updates
গতকাল, রবিবারই দু’দিনের সফর সেরে দিল্লি চলে যান ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার। সূত্রের খবর, এ মাসের শেষের দিকে রাজ্যে আসতে পারে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। আর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এপ্রিলের মধ্যে বাংলায় বিধানসভার ভোটপর্ব শেষ করার চেষ্টা করা হবে।