ওয়াশিংটন: করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর বলে চিনকে শুরু থেকেই বারবার আক্রমণ করে আসছে আমেরিকা। করোনাকে চিনা ভাইরাস বলে একাধিকবার উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও। করোনা ইস্যুতে ক্রমেই জটিল হয়েছে চিন ও আমেরিকার সম্পর্ক।


এরই মধ্যে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার উপর লাল ফৌজের আগ্রাসনের পর চিনের বিরুদ্ধে ডিজিট্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। টিকটক সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এরপর তা সমর্থন করে ভারতের পাশে দাঁড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক।


সোমবার আবার মাইক পম্পেও বলেন, তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা  করছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে এ বিষয়ে আলোচনা না হলেও, ভিতরে ভিতরে আমেরিকাও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে।


টিকটকের মতো চিনা অ্যাপ, ব্যবহারকারীদের তথ্য কীভাবে ব্যবহার করছে, তা নিয়ে চিন্তিত মার্কিন প্রশাসন। কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত দেশের গোয়েন্দাবিভাগের কার্যকলাপকে সাহায্য করার জন্য এই সব তথ্য ব্যবহার হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিগ্ধ তারা।






টিকটক ইতিমধ্যেই ব্যবসা বাঁচাতে চিনের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।  চিনা প্রভাব মুক্ত হয়ে বিশ্বের নজরে নিজেদের ভাবমূর্তি পরিষ্কার করার চেষ্টা চালাচ্ছে টিকটক।