নয়াদিল্লি: হঠাৎ করে স্বাস্থ্যের অবনতি। ভেন্টিলেটরে ভ্যাটিকানের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। হঠাৎ করে কাশি শুরু হয় তাঁর। এর ফলে বমি করতে শুরু করেন। শ্বাসকষ্টও শুরু হয় তার। এর ফলে কৃত্রিম উপায় অক্সিজেন জোগানোর প্রয়োজন পড়ে। ভ্যাটিকানের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে পোপের স্বাস্থ্যের অবনতির কথা জানানো হয়েছে। ৮৮ বছর বয়সি পোপের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে তাই উদ্বেগ অনুগামীদের মধ্যে। (Pope Francis Health Update)
তবে পোপ জ্ঞান হারাননি, চারপাশের সবকিছু বুঝতে পারছেন, চিকিৎসকদের সহযোগিতা করছেন বলেও জানিয়েছে ভ্যাটিকান। বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকাই পোপের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। অথচ সকালেও ঠিক ছিলেন তিনি। হাসপাতালে প্রার্থনা সারেন। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসও নেন তিনি। কিন্তু বিকেলের দিকে আচমকাই পরিস্থিতির অবনতি হয়। (Pope Francis in Hospital)
আপাতত পোপ চিকিৎসকদের পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। কিন্তু এখনই পোপের স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু বলার পক্ষপাতী নন চিকিৎসকরা। আগামী ৪৮ ঘণ্টা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে পোপকে। চিকিৎসায় তিনি ঠিক মতো সাড়া দিচ্ছেন কি না, কোথাও কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্রা রয়েছে কি না, পরীক্ষা করে দেখা হবে।
এর আগে, বুধবার সিটিস্ক্যান হয় পোপের। সেই সময় সব কিছু স্বাভাবিক বেল দেখা যায়। কিডনিতে সামান্য সমস্যা থাকলেও, তা ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু নতুন করে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় পোপকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তাঁকে আর কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে, উঠছে প্রশ্ন। ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ৫ মার্চ গির্জায় নেতৃত্ব দিতেও সক্ষম হবেন না পোপ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রোমের Gemelli হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পোপকে। শ্বাসকষ্ট ছিল তাঁর, ধরা পড়ে ডাবল নিউমোনিয়া, পাশাপাশি কিডনির সমস্যাও ধরা পড়ে। পোপের ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি একটু বেশিই ছিল। কারণ অল্প বয়সে প্লুরিসি রোগে আক্রান্ত হন তিনি। আর্জেন্টিনায় যখন পোপ হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন, সেই সময়ই তাঁর ফুসফুসের কিছুটা অংশ বাদ দিতে হয়।
এই মুহূর্তে পোপের সুস্থতা কামনা করছে গোটা পৃথিবী। সেন্ট পিটার্স থেকে শুরু করে ইতালির সর্বত্র এবং বিদেশেও পোপের জন্য প্রার্থনা সভার আয়োজন হচ্ছে। হাসপাতালের বাইরেও ভিড় করেছেন অনুগামীরা। গত কয়েক বছরে বার বার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পোপ। ২০২৩ সালের মার্চ মাসেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল তাঁর। ২০২১ সালের জুন মাসে মলাশয়ে অস্ত্রোপচার হয়। সায়াটিকের যন্ত্রণার পাশাপাশি, হাঁটুর সমস্যাও ছিল। তাই হুইলচেয়ারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন তিনি।