ভোপাল: বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ভোপালের হাসপাতালে মৃত্যু হল ৩ জনের। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের হামিদিয়া হাসপাতালের। জানা গিয়েছে, মৃত ৩ ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।


হামিদিয়া হাসপাতাল সূত্রে খবর, হঠাৎই বিদ্যুৎ চলে যায়। হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও তাও কাজ করছিল না। মৃত ৩ ব্যক্তি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন। বিদ্যুৎ না থাকায় ভেন্টিলেটর চলছিল না। আর তাতেই মৃত্যু হয় তাঁদের।

এই ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। হাসপাতালের ডিনকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যে। রাজ্য প্রশাসন সাফ জানিয়েছে, কোনওরকম অবহেলাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না।

অন্যদিকে, সঞ্জয় গাঁধী হাসপাতালে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গত এক সপ্তাহে ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয় কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতির জন্য দিনে ৩ থেকে ৪ জন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে।

মৃত এক শিশুর আত্মীয় শৈলেন্দ্র তিওয়ারি জানান, দিন কয়েক আগে আমার বৌমা সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু শিশুকে আমরা দেখতে পাইনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুব খারাপ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, জানি না কী হয়ছিল। পরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আমরা নাতনির মৃতদের তুলে দেওয়া হয়।

এদিকে ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজস্থান। কোটাপ জে কে লেন হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯ সদ্যোজাতর। শুধু তাই নয়, গত এক বছরে মৃত্যু হয়েছে ১০০ শিশুর। হাসপাতালের সুপারইনটেনডেন্ট ডা. এস সি দুলারার গা ছাড়া মনোভাব ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, জীবন মৃত্যু কারোর হাতে নেই। চিকিৎসকরা ভগবান নয়। রাজস্থান স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা বলেন, ৩ শিশুর হাসপাতালে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছিল, ৩ শিশুর কনজিনেটাল ম্য়ালফরমেশন, ৩ শিশুর সিওটি ছিল।