নাম না করে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও বাকি শীর্ষ নেতানেত্রীরা কেন প্রতিবাদ সমাবেশে গরহাজির, সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠার পরদিন গত সোমবার সকালে রাহুল দক্ষিণ কোরিয়া সফরে বেরিয়ে যান। রাহুলের অনুপস্থিতিতে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী দলের তরফে মাঠে নামলেও ১১ ডিসেম্বরের রামলীলা ময়দানের সমাবেশের পর থেকে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদে তেমন চোখে পড়ছে না। মঙ্গলবার প্রিয়ঙ্কা প্রতিবাদীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে ইন্ডিয়া গেটের সভায় হাজির ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায়ও যোগ দেন।
এর আগে কিশোর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি (ইউ) প্রধান নীতীশ কুমারকেও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) সমর্থনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন। এমনকী দলের সিএবি সমর্থনের পরও তিনি ট্যুইট করেন, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য সৃষ্টিকারী বিলে জেডি (ইউ) সায় দেওয়ায় হতাশ। দলের সংবিধানের প্রথম পৃষ্ঠায় তিনবার ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটা রয়েছে। দলীয় নেতৃত্বও গাঁধীবাদী দর্শন মেনে চলার শপথ নেয়। এই বিল সেই সংবিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।