পটনা: অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশনে বসলেন ভোটকুশলী তথা রাজনীতিক প্রশান্ত কিশোর। বিহার সিভিল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অনশনে বসলেন তিনি। প্রশ্ন বাতিলের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিলের দাবি তুলছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই দাবিতে এবার শামিল হলেন প্রশান্ত। দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। (Prashant Kishor)


বিহার সিভিল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা নিয়ে লাগাতার প্রতিবাদ, আন্দোলন চলছে বিহারে। গত এক সপ্তাহ ধরে ২০২৪ সালের ৭০তম Integrated Combined Competitive (Prrliminary) Examination (CCE) বাতিলের দাবিতে পথে পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাই পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। (Bihar Civil Services Exam)


বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কিমারের সঙ্গেও সম্প্রতি বৈঠক হয় চাকরিপ্রার্থীদের। সেখানেও পরীক্ষা বাতিল এবং নতুন করে পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসেন। গোড়া থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন প্রশান্ত। দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাটিত করার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। 



বিহার সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন প্রশান্ত। তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হলে, নিজে আন্দোলে শামিল হবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেই মতোই বৃহস্পতিবার অনশনে বসলেন তিনি। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রশান্ত-সহ বেশ কয়েকজনে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পটনার গাঁধী ময়দানে চাকরিপ্রার্থীরা যে আন্দোলন করছেন, তাতে প্রশান্ত এবং অন্যদের উস্কানি রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে মামলায়। 


সোমবারও আন্দোলনস্থল থেকে প্রশান্তকে সরে যেতে বলা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশও তাঁর বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন। বিহার পুলিশ যখন লাঠিচার্জ করছিল, প্রশান্ত কোথায় ছিলেন, প্রশ্ন তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনস্থলে প্রশান্তকে লক্ষ্য করে 'গো ব্যাক' স্লোগানও ওঠে। বাদানুবাদে তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেই সময় প্রশান্ত বলে ওঠেন, "আমাদের থেকে কম্বল নিয়ে আমাদেরকেই মেজাজ দেখাচ্ছেন?" প্রশান্তর সেই মন্তব্যও ভালভাবে নেননি চাকরিপ্রার্থীরা।


এর পর সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশান্ত জানান, ছাত্রদের আন্দোলন, তাঁরাই নেতৃত্ব দেবেন। তিনি চলে আসার পর লাঠিচার্জ হয় বলেও দাবি করেন প্রশান্ত। পুলিশেরও তীব্র সামলোচনা করেন তিনি। পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে, মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার কথাও জানান।  সেই সময়ই জানিয়েছিলেন, সুরাহা না হলে তিনি নিজে আন্দোলনে যোগ দেবেন। বৃহস্পতিবার তা-ই করলেন প্রশান্ত।