কলকাতা : দূরদৃষ্টিতার অভাব এবং বোঝার অক্ষমতা। এই দু'টি বিষয়কে লোকাতে দেশজুড়ে করোনা সঙ্কটের বিষয়টি অবহেলা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে এমনই অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। 


দেশজুড়ে করোনা সঙ্কট ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অভাব নিয়ে কার্যত চিন্তিত ওয়াকিবহাল মহল। অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আতঙ্কে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে গতকাল জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে গোটা দেশ। চ্যালেঞ্জ কঠিন, কিন্তু আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। পাশাপাশি দেশজুড়ে অক্সিজেন সঙ্কটের বিষয়টিও তিনি মেনে নেন। বলেন, দেশের অনেক জায়গায় অক্সিজেনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্কট মেটাতে সংবেদনশীলতার সঙ্গে কাজ চলেছ। ১৮ বছর পেরোলেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যেখানেই আছেন, সেখানেই থাকুন। কেউ শহর ছাড়বেন না। আগেরবার পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল।


প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে টুইটারে সরব হন পিকে। লেখেন, মোদি সরকারের সঙ্কট-মোকাবিলা :
 # 1 : বোঝার অক্ষমতা এবং দূরদৃষ্টিতার অভাব লোকাতে সমস্যাকে অবহেলা করা।
# 2.  হঠাৎ নিয়ন্ত্রণে নেন, ধাপ্পাবাজি এবং জয়ের দাবিতে গর্জন করেন ।
# 3. যদি সমস্যা থেকে যায় তবে তা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন।
# 4. যখন পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য ভক্ত-সেনাকে নিয়ে ফিরে আসেন।


প্রসঙ্গত, প্রতিদিনই দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪১ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৩ জনের। রাজ্যেও বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। করোনা পরিস্থিতিতে সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। এই মর্মে গতকালই তৃণমূলে একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে দাবিপত্র জমা দেয়।