NGT Report on Ganga Water: কুম্ভে কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন অবগাহন করেছেন। পুণ্যস্নানের  ভিড়ে মলমূত্রের থেকে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই গিয়েছিল অনেকের মনে। এর আগে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB)- এর  দেওয়া একটি রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। উচ্চ মাত্রার মল-মূত্রের ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালও। আর এবার দেড় মাসের কুম্ভ মেলা শেষ হওয়ার পর সামনে এল CPCB র আরও একটি রিপোর্ট।  উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শেষ হওয়ার পর ফের একবার পরীক্ষা করে দেখা হয় সঙ্গমের জল। আর তাতে যা সামনে এল, তা চমকে দেবে দেশকে। 

ভারত সরকারের সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড (CPCB) ফের একবার জলের মান পরীক্ষা করে। রিপোর্ট জমা করে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (NGT) র কাছে। মহাকুম্ভের সমাপ্তির পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সিপিসিবির তরফে এনজিটিতে একটি রিপোর্ট জমা করা হয়। তাতে  সিপিসিবি জানিয়েছে, কোটি কোটি মানুষের স্নানের পরও কলুষিত হয়নি পুণ্যক্ষেত্রের জল। প্রয়াগরাজের বিভিন্ন ঘাট থেকে জল সংগ্রহ করা হয়। তার ভিত্তিতেই তৈরি হয় এই রিপোর্ট । গত ৭ মার্চ এনজিটি সেই রিপোর্টই সামনে আনল। 


সিপিসিবির রিপোর্ট অনুযায়ী, গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর মিলনস্থল সঙ্গমে ১০০ মিলি জলে ফিকল কলিফর্মের মাত্রা ১৭০০। কোনো নদীতে স্নান করার জন্য ফিকল কলিফর্মের সর্বোচ্চ মাত্রা ২৫০০ হওয়া উচিত। সেই হিসেবে দেখতে গেলে সঙ্গমের জল নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।


একইভাবে স্যাম্পলে BOD এর মাত্রা ২.৫১। DO র মাত্রা ৮.৫ । pH ৮.২৩ ।  বিজ্ঞানীরা বলেন, কোনও জলে স্নান করতে গেলে  BOD র মাত্রা  ৩, DO র মাত্রা ৫ এর বেশি এবং pH এর মাত্রা ৬.৫ থেকে ৮.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত। অর্থাৎ CPCB-এর নবতম  রিপোর্ট অনুযায়ী সঙ্গমের জল সব পরীক্ষাতেই পাশ করেছেন। দূষণের মাত্রা নিয়ে মাথাব্যথা করার কারণ নেই। 


সঙ্গমঘাট ছাড়াও CPCB-এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়াগরাজে অন্যান্য ঘাটের জল  নিয়েও চিন্তার কিছু নেই। নাগবাসুকী মন্দির সংলগ্ন ঘাট,  সোমেশ্বর ঘাট, কার্জন ব্রিজ সহ অন্যান্য ১৮ টি ঘাটেও গঙ্গার জল সব দিক থেকেই পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছে।  দূষণের  মাত্রাও সর্বোচ্চ সীমার থেকে অনেক কম।


উল্লেখ্য, মহাকুম্ভের সময় সিপিসিবি যে রিপোর্ট জমা করেছিল, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের অন্ত ছিল না। সেই রিপোর্টে সঙ্গমের জল ও গঙ্গার জলে ফিকল কলিফর্মের পরিমাণ নির্ধারিত মাত্রার থেকে বেশি ছিল।