দিল্লি হাইকোর্ট আজ সফুরার জামিন মঞ্জুর করে অবশ্য তদন্তে বাধা হতে পারে এমন কোনও কার্য্যকলাপে সামিল হতে বারণ করেছে। অনুমতি ছাড়া দিল্লিও ছাড়তে পারবেন না তিনি। পাশাপাশি তাঁকে ১৫ দিনে অন্তত একবার ফোনে একজন তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। ১০০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডও পেশ করতে হবে তাঁকে।
সফুরার স্বামী সবুর সিরওয়াল বলেছেন, আদালতকে ধন্যবাদ। আইনজীবীদেরও ধন্যবাদ জানাই তাঁদের যথাসাধ্য চেষ্টার জন্য। পরিবার মুখিয়ে রয়েছে ওর সঙ্গে দেখা করার জন্য। সফুরার আইনজীবী সওয়াল করেন, জটিল, গর্ভাবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আছেন তিনি।
জামিয়ার এই এমফিল ছাত্রী ৫ মাসের গর্ভবতী। পুলিশের তরফে আজ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মানবিকতার খাতিরে তাঁর জামিনে আপত্তি করেননি। তিনি বলেন, মানবিকতার কথা মাথায় রেখে তাঁকে নিয়মিত জামিনে ছেড়ে দেওয়া যায়, কিন্তু এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা, যৌক্তিকতার ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং এই জামিনকে দৃষ্টান্ত খাড়া করাও উচিত নয়।
গত সোমবার দিল্লি পুলিশ সফুরার জামিনের বিরোধিতা করে বলেছিল, তিনি সন্তানসম্ভবা বলে তাঁর অপরাধের মাত্রা বিন্দুমাত্র কম নয়। জামিনের বিরোধিতা করে দিল্লি পুলিশের দায়ের করা স্ট্যাটাস রিপোর্টে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে স্পষ্ট, সঙ্গতিপূর্ণ মামলা দায়ের হয়েছে, তিনি সূচারু কায়দায় তৈরি ও প্রয়োগ করা মারাত্মক অপরাধের ছক কষায় অভিযুক্ত হয়েছেন।
পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ জানায়, তাঁকে একটি পৃথক সেলে রাখা হয়েছে, যেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। গত ১০ বছরে দিল্লির জেলগুলিতে ৩৯টি প্রসব হয়েছে বলেও দাবির সমর্থনে সওয়াল করে তারা।
জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্য় সফুরা গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে জামিন চান, নিম্ন আদালতে আবেদন খারিজ হওয়ার পর।