নয়া দিল্লি : স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি যে, আমার মতো গ্রামের একজন সাধারণ ছেলের পক্ষে কখনও দেশের সর্বোচ্চ অফিসে দায়িত্ব পালনের সুযোগ হবে। কিন্তু, আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটাকে সম্ভব করেছে। কানপুরের দেহাতে জন অভিনন্দন সমারোহে যোগ দিয়ে একথা বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। 


তিনি বলেন, এই উপলক্ষে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশের সংবিধান রচয়িতা কমিটিকে তাঁদের অবদানের জন্য সম্মান জানাই। আজ আমি যেখানে পৌঁছেছি, তার কৃতিত্ব যায় এই গ্রামের মাটিকে এবং আপনাদের ভালবাসা ও আশীর্বাদকে। 


আজ কানপুরে ছোটবেলার বন্ধু কে কে আগরওয়ালের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, চার দিনের সফরে কানপুরে গেছেন রাষ্ট্রপতি। এই সময়ের মধ্যে তিনি পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করছেন। ট্রেনে চড়ে কানপুরে যান রাষ্ট্রপতি। গত ১৫ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি ট্রেনে চড়ে গেলেন। উত্তরপ্রদেশে কানপুর দেহাত(গ্রামীণ) জেলায় নিজের জন্মস্থান পারাউঙ্খে যান কোভিন্দ।


নিজের গ্রামে পৌঁছে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন রাষ্ট্রপতি। গ্রামের কাছে হেলিপ্যাডে নামার পর মাটি ছুঁয়ে প্রণাম করেন নিজের জন্মভিটেকে। কানপুরের সার্কিট হাউসে উঠেছেন তিনি। সেখানে স্থানীয় শিল্প প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ এবং কানপুরের অন্যান্য নামি ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু, বন্ধু আগরওয়ালের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতি। 


উল্লেখ্য, কাপড় ব্যবসায়ী এই বন্ধু বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। তাই বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাষ্ট্রপতি। বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার সময় একটি কেক নিয়ে যান। বন্ধু ও তাঁর স্ত্রী বীণার ৫১ বছর বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের জন্য। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে ছিলেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আগরওয়াল জানান, তিনি খুবই আনন্দিত যে রাষ্ট্রপতি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, এটা আমাকে ভগবান কৃষ্ণের তাঁর গরিব বন্ধু সুদামার বাড়িতে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।