শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামীকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি এই সমাবর্তন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সশরীরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
সকাল সাড়ে নয়টায় শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাসের আম্রকুঞ্জে সমাবর্তন শুরু হবে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে এই অনুষ্ঠান চলবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে খুবই সীমিত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শান্তিকেতন সফরে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেষবার শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন ২০১৮-র মে মাসে। আচার্য হিসেবে সেবারই প্রথম বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ওই বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
গত ডিসেম্বরে বিশ্বভারতীয় শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, দেশের আত্মনির্ভরতার এই ধারনা গড়ে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথই। বিশ্বভারতীর পৌষ মেলায় বহু শিল্পীই তাঁদের শিল্পকর্ম বিক্রয় করার সুযোগ পেতেন। এভাবে তাঁরা আত্মনির্ভরতার পথ খুঁজে পেতেন।
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গুজরাতের যোগও উঠে এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণে। প্রধানমন্ত্রী মোদি গুজরাতের। নিজের রাজ্যের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের দাদা সত্যেন্দ্রনাথ গুজরাতে থাকতেন। এজন্য মাঝেমধ্যেই গুজরাতে যেতেন রবীন্দ্রনাথ। গুজরাতের সংস্কৃতি মন কেড়েছিল কবিগুরুর। সেখানে দুটি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর বিখ্যাত ছোট গল্প ক্ষুধিত পাষাণ-এর অংশ বিশেষ লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
বিশ্বভারতীর শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। নবান্নের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রীকে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই নিয়ে বিজেপি অভিযোগ করেছিল যে, শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে রবীন্দ্র-ঐতিহ্যের অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।