Narendra Modi: খারাপ আবহাওয়ার দরুণ প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিতে বদল। সিকিম যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সিকিমের রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সিকিমের অনুষ্ঠানে বাগডোগরা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী আলিপুরদুয়ার প্য়ারেড গ্রাউন্ডে প্রথমে প্রশাসনিক সভা করবেন। তারপর ওই একই জায়গায় রাজনৈতিক সভাও করবেন তিনি। সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে আলিপুরদুয়ার প্য়ারেড গ্রাউন্ডে সিটি গ্যাস সরবরাহ পরিযোজনা প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। ২টো ৫৫ থেকে ৩টে ৫০ পর্যন্ত ওই মাঠেই তাঁর দলীয় জনসভা। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে প্রধানমন্ত্রী যাবেন হাসিমারায়। বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে হাসিমারা থেকে রওনা দেবেন পাটনার উদ্দেশে।
সফর শুরুর আগেই তৃণমূলকে আক্রমণের সুর বেঁধে দিয়েছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির জনসভাকে সম্বোধিত করব। গত এক দশকে NDA সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। একইসঙ্গে তারা তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত ও খারাপ শাসনে ক্লান্ত।
পাল্টা নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে তৃণমূল কংগ্রেসয প্রধানমন্ত্রীকে পরিযায়ী পাখির সঙ্গে তুলনা করে এই পোস্টে তারা লিখেছে, পরিযায়ী পাখি যখন মরসুমি সফরে বাংলায় আসছে, তখন একটা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিলেই হয়, কেন রাজ্য় সরকারের হকের বকেয়া ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্র সরকার দিচ্ছে না?
মোদির সফরে নেই দিলীপ ঘোষ। প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি নেতার বক্তব্য, তিনি মাঠে সক্রিয়। তবে পদাধিকারী নন, সাধারণ কর্মী। দল যা দায়িত্ব দেবে, তা তিনি যথাযথভাবে পালন করবেন বলে জানিয়েছেন। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বলতে পারবে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি, প্রতিক্রিয়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
আজ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে প্রশাসনের সর্বস্তরে যোগাযোগ করেছেন চাকরিহারারা। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারে পৌঁছে গেছেন চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানিয়ে আলিপুরদুয়ার থানায় চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। চিঠি দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকের কাছেও। শেষমেষ কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মিলবে? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এদিকে চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সোমবার রাজ্য প্রশাসনকে তারা চিঠি দেন। এরপর মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার থানা থেকে ফোন করে তাঁদেরকে ডাকা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় প্ল্যাকার্ড হাতে কোনও স্লোগান বা জমায়েত করা যাবে না।